রবিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২
প্রথম পাতা » » কে এই হাবিবুুল আউয়াল..?
কে এই হাবিবুুল আউয়াল..?
দেশের ১৩তম প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। তাকে শনিবার (২৬ ফেব্রয়ারি) রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নিয়োগ দিয়েছেন। কর্মজীবনে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন শেষে সিনিয়র সিচিব হিসেবে অবসর নেওয়ার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেলেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। বর্তমানে তার বয়স ৬৬ বছর। তিনি গত ৫ বছর আগে সরকারি চাকরি থেকে অবসরে যান। এরপরে তিনি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে আইন বিভাগে শিক্ষকতা করছিলেন।
সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত সিইসি হাবিবুল আউয়ালের পৈত্রিক নিবাস চট্টগ্রামের দ্বীপ উপজেলা সন্দীপে। বাবার চাকুরির সুবাদে তার জন্ম হয় কুমিল্লায়। হাবিবুল আউয়ালের বাবা কাজী আবদুল আউয়াল ছিলেন কারা বিভাগের কর্মকর্তা। ১৯৭৫ সালের নভেম্বর মাসে জেলখানায় জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলার বাদী ছিলেন হাবিবুল আউয়ালের বাবা তৎকালীন কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) আবদুল আউয়াল। ব্যক্তিগত জীবনে তিন সন্তানের বাবা হাবিবুল আউয়াল। তার স্ত্রীর নাম সাহানা আক্তার খানম। তার আত্মজীবনীমূলক একাধিক গ্রন্থও প্রকাশিত হয়েছে।
হাবিবুল আউয়াল ১৯৭২ সালে খুলনার সেন্ট জোসেফ’স হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং ১৯৭৪ সালে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। এরপরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। তিনি ১৯৮১ ব্যাচের বিসিএসে মুনসেফ সহকারী জজ পদে সরকারি চাকরি শুরু করেন। ১৯৯৭ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদোন্নতি পান হাবিবুল আউয়াল। ২০০০ সালের ডিসেম্বরে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিবের দায়িত্ব পান তিনি। ২০০৪ সালে পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত সচিব হন। ২০০৭ সালে পদোন্নতি পেয়ে একই মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পান হাবিবুল আউয়াল।
২০১০ সালে বিচার বিভাগের এই কর্মকর্তার আইন সচিব হিসেবে নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয় আদালত। আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে হাবিবুল আউয়ালের নিয়োগের সময় নীতিমালা মানা না হওয়ায় আদালত তার নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করে। আইন সচিব থাকা অবস্থায় বিধিবহির্ভূতভাবে দুই বিচারককে অবসরে পাঠানো নিয়েও জটিলতায় জড়িয়েছিলেন হাবিবুল আউয়াল। সংসদীয় কমিটি এজন্য তাকে তলব করলে তিনি ওই ঘটনার দায় নিয়ে ক্ষমা চান। ওই ঘটনার পর ২০১০ সালের এপ্রিলে ধর্ম সচিব করা হয় হাবিবুল আউয়ালকে। পরে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পান তিনি। ২০১৪ সালে সেখান থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব করে পাঠানো হয় তাকে। ওই বছরই পদোন্নতি পেয়ে জ্যেষ্ঠ সচিব হন হাবিবুল আউয়াল। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে অবসরে যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু পিআরএল বাতিল করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে তাকে এক বছরের চুক্তিতে নিয়োগ দেয় সরকার। ওই চুক্তির মেয়াদ ২০১৬ সালে আরও এক বছর বাড়ানো হয়। এরপর ওই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থেকেই জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে ২০১৭ সালে অবসরে যান তিনি।