কমলনগর কলেজ পরিদর্শনে চলচ্চিত্র নাট্যকার ইসমাইল
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় “কমলনগর কলেজ” পরিদর্শন করেন গ্লোবাল ভিলেজ উত্তর আমেরিকান প্রবাসি চলচ্চিত্র নির্মাতা, কথাশিল্পী, উপন্যাসিক, নাট্যকার ও কলেজ উপদেষ্টা ইসমাইল হোসেন। তার লিখুনিতে গ্রামীন সাংস্কৃতিক বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।
শুক্রবার( ৪ ফেব্রুয়ারী) সকালে উপজেলার চর লরেন্স এলাকায় কলেজ ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন। এসময়, তাকে কলেজ এর পক্ষে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
উপস্থিত ছিলেন, অধ্যক্ষ আরিফ হোসেন, অপ্রকাশিত গ্রন্থের বিশিষ্ট লেখিকা নাজনে আরা, প্রভাষক আমজাদ হোসেন আমু, মো. ফজলুল হক, আনোয়ার হোসাইনসহ প্রমুখ।
ইসমাইল হোসেন বলেন, কমলনগর কলেজ এর ক্যাম্পাস দেখে মন ভরে গেল। এই কলেজের সবকিছু তাকে মুগ্ধ করেছে। এক সময় এখানে প্রমত্তা মেঘনা নদী ছিল। গ্রামীন সংস্কৃতির আনা-গোনা ছিল। শিক্ষা প্রদ্ধতিতে প্রযুক্তি ও আধুনিক মানের গুনগত শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা দরকার। শিক্ষার মান উন্নত করতে এলাকার গরীব, অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের সুযোগ করে দিতে হবে। তাহলে শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়াও তিনি বলেন, সমাজে নির্যাতিত, নিপীড়িত, অসহায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে হবে। সমাজ উন্নয়নে শিক্ষার মান বৃদ্ধি করতে হবে।সমাজে শিক্ষার আলোয় নারী জাগ্রত করে তাদের পাশে থাকতে হবে। সাংস্কৃতিক চর্চা, লেখুনি বিদ্যা, জানার আগ্রহ প্রকাশ, চলচ্চিত্র, নাট্য, প্রামান্য চিত্রের বিষয় ভিত্তিক চিন্তা-চেতনার বিকাশে কাজ করতে হবে। এসবের সমন্বয়ে সমাজ আলোকিত হবে। তিনি কমলনগর কলেজ এর উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।
ইসমাইল হোসেন রচিত- স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মান ‘র’ শিশু সাহিত্য “মানুষ এলো পৃথিবীতে” ছড়াগ্রন্থ “আইসক্রিম” উপন্যাস “মানিকের বউ” প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “কাঁদে নদী, কাঁদে মানুষ”। বইসমুহ-লালবাগ থেকে লাসভেগাস, সতীদহন, স্বপ্নকানন, পানিফল, গরম ভাতের দেশ, মুজিব এক মহাকাব্যের নাম, শায়েস্তা খাঁর পরী ও ১৯৭৫ বই রচনা করেন। এছাড়াও ছড়া, কবিতা, গান, নাটক, রাজনৈতিক ও প্রাকৃতিক প্রবন্ধ রচনা করেন।
ইসমাইল হোসেন এর জন্ম নোয়াখালীর লক্ষ্মীপুর জেলার ভবানীগন্জ এলাকায়। তিনি বিশিষ্ট নাট্যকার ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা অরণ্য আনোয়ার এর বড় ভাই। তিনি বর্তমানে স্ব পরিবার নিয়ে আমেরিকাতে বসবাস করেন।