নদীর পাড়ের মাটি কাঁটছে অসাধু ব্যবসায়ীরা
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের মেঘনা নদীর পাড় থেকে অবাধে মাটি কেঁটে নিয়ে যাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। নদীর কাছ থেকে ধানব ট্রাক্টর দিয়ে মাটি কেঁটে ইটের ভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছে বলে জানা যায়। এতে নদীর ভাঙণে তীব্রতা ও ফসলি জমি ধংস হচ্ছে। সবার চোখের সামনে দিয়ে ট্রাক্টর করে মাটি যাচ্ছে উপজেলা এদিক-সেদিক। সকাল হলে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেখা যায় মাটি কাটার রমরমা দৃশ্য।
আইন অনুযায়ী- পরিবেশ আইন অনুযায়ী কৃষিজমি ও টিলার মাটি কাটা দণ্ডনীয় অপরাধ। … দুই আইনে শাস্তির বিধান একই রকম। এসব কাজে জড়িত ব্যক্তিদের দুই লাখ টাকার জরিমানা ও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। একই কাজ দ্বিতীয়বার করলে দায়ী ব্যক্তির ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও ১০ বছরের কারাদণ্ড হবে।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার চর ফলকন ইউনিয়নের মাতাব্বর হাট সড়কের দক্ষিন পাশ থেকে ফসলি জমির ফসল নষ্ট করে গত কয়েক দিন একশ্রেণি অসাধু ব্যবসায়ীরা মাটি বেঁচা-কেনা করছে। এসব মাটি ইটের ভাটা ও বিভিন্ন মহলে বিক্রি হচ্ছে। এতে ধানব ট্রাক্টরে মাটি আনা-নেয়ায় ধুলা-বালিতে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
কয়েকজন কৃষক জানান, নদীপাড় থেকে এভাবে মাটি কেঁটে নেওয়ায় বিভিন্ন ধরনের সবজি ও ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ঝুঁকিতে পড়েছে নদীপাড়ের ফসলি ক্ষেত ও তাদের বসতবাড়ি। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে, যে কোনো সময় ফসলি জমি ও ঘর বাড়ি ভেঙে পড়তে পারে। নদীপাড় থেকে মাটি কাটা ও তা বিক্রি বন্ধের দাবি জানিয়েছে তারা।
স্থানীয় ভাবে জানা যায়, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ নদীর পাড়ের নিজস্ব ভূমি থেকে এসব মাটি বিক্রি করছে। তাদের দাবি এভাবে প্রভাশালীরা অবৈধভাবে মাটি বিক্রি করলে নদীতে খুব দ্রুত ভেঙে পড়বে তাদের বাড়ি ও ফসলি জমি। তারা মাটি কাঁটা বন্ধ চায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, মেঘনার ভাঙনে কবলিত এলাকা থেকে মাটি কাঁটা হবে না। এটা সম্পূর্ণ আইনবিরোধী। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভী-বাণী/ ডেস্ক