কমলনগরে আ’লীগের নেতৃত্বে আলোচনায় যারা
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সম্মেলনে নেতৃত্ব নিয়ে প্রচার-প্রচারনা, ব্যানার, পেস্টুন ও বিলবোর্ডে ছেড়ে গেছে। শুরু হয়েছে নেতৃত্ব নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা। সম্মেলন নিয়ে প্রচার-প্রচারণা করছে প্রার্থী ও কাউন্সিলরা। তারা পছন্দের প্রার্থীকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। গত ২০১১ সালে উপজেলা সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়। দীর্ঘ ১২ বছর পর সম্মেলন হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৯ জানুয়ারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছে উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান সভাপতি, ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার নুরুল আমিন ও সিনিয়র সহ- সভাপতি ও ইউপির চেয়ারম্যান মো.নিজাম উদ্দিন। এদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার ঝড় দেখা যাচ্ছে।
এদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় রয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদকে দায়িত্বে থাকা এড. নুরুল আমিন রাজু ও সাবেক উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ফজলুল হক সবুজ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও সাবে ক নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান হাজ্বি হারুনুর রশিদ।
এবার সম্মেলনে ভোটার বা কাউন্সিলর হবেন, প্রতিটি ইউনিয়ন কমিটির ৩১ জন করে প্রায় ২৭৯, এছাড়াও উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটির ৫৭ জন সদস্য। তবে কাউন্সিলর তালিকা প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত আলোচনা-সমালোচনা চলবে বলে জানা যায়।
এদিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান সভাপতি মাষ্টার নুরুল আমিন বলেন, আগামী সম্মেলনকে ঘিরে ভোটার বা কাউন্সিলর তালিকা প্রনয়ন চলছে। কমিটি ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে হবে।
কাউন্সিলরদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, আগামী ২৯ জানুয়ারী হতে যাচ্ছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। দীর্ঘ এক যুগ পর হচ্ছে এ সম্মেলন। তবে ভোটেই তারা সভাপতি -সম্পাদক নির্বাচিত করবে।
অন্যজন জানান, দল দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পরও উপজেলা কমিটি হচ্ছে দীর্ঘ এক যুগ পর। এতে দলের ভাবমুর্তি নষ্ট হচ্ছে। দলের যারা দায়িত্বে রয়েছে তারা দলের তৃণমুল নেতা-কর্মীদের খোজঁ-খবর রাখছেন না। বঙ্গবন্ধু’র আর্দশে জন নেত্রী শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনা করছে। কিন্তু দলের কিছু নেতার কারণে তৃণমুল নির্যাতিত ও নিপীড়িত হচ্ছে।
সভাপতি প্রার্থী নিজাম উদ্দিন জানান, ছাত্রলীগ থেকে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করছি। দলের জন্য নির্যাতিত-নিপীড়িত হয়েছি। কখনো দল বিরোধী কাজ করিনি। সবসময় সংগঠনের জন্য কাজ করেছি। নেতা-কর্মীদের পাশে থেকে খোঁজ -খবর নিয়েছি। দলের সভাপতি প্রার্থী হিসেবে কাউন্সিলর বা ভোটারদের দোয়া ও ভোট আশা করছি।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ফজলুল হক সবুজ বলেন, দীর্ঘদিন যুবলীগের সংগঠনের দায়িত্বে থেকে কাজ করেছি। দলের নেতা-কর্মীদের সাথে সাংগঠনিক কাজে সুখে-দু:খে পাশে থেকেছি। কাউন্সিলর ভোটার প্রয়োগের মাধ্যমে কমিটি আশা করছি।
উপজেলা আ’লীগের সদস্য ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হাজ্বি হানুরুর রশিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকা প্রতিক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। দলের জন্য কাজ করছি। আশা করছি দল মূল্যায়ন করবে।
বর্তমান সভাপতি নুরুল আমিন বলেন, দীর্ঘদিন থেকে দলের কাজ করছি। দলের জন্য বিরোধী পক্ষ ও দল বিরোধীদের প্রতি হিংসার শিকার হয়েছি। সভাপতি পদে দলের হাইকমান্ড ও কাউন্সিলর বা ভোটারদের ভোট চাচ্ছি।
আমজাদ আমু /ডেস্ক