রবিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » বিবিধ » কুশাখালীতে জনসমর্থনে এগিয়ে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী এড.সামসুল হক
কুশাখালীতে জনসমর্থনে এগিয়ে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী এড.সামসুল হক
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়ন পরিষদ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন পেতে সর্বশ্রেণি-পেশার মানুষের জনসমর্থনে এগিয়ে রয়েছে এড.মোহাম্মদ সামসুল হক। তিনি চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে এলাকার সর্ব পেশার মানুষের সুখে-দু:খে কাজ করছেন। তিনি নির্বাচনী এলাকার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মত বিনিময়, মতামত ও মনের ভাব প্রকাশ করছেন। প্রতিনিয়ত তরুন ভোটার ও আমজনতার মনে জায়গা করে নিতে কাজ করছেন। তরুন প্রার্থী হিসেবে সবার মধ্যে সাড়া জাগিয়েছেন।
ইতিমধ্যে, তরুন ভোটার ও সাধারণ মানুষের মধ্যে তরুন প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ ফেইসবুকে প্রচারে সাড়া জাগিয়েছেন। তাকে ঘিরে নির্বাচনী প্রচার, প্রচারণা শুরু হয়ে গেছে।
এলাকা ঘুরে জানা যায়, তরুন, উদিয়মান, শিক্ষিত, মার্জিত, ভদ্র প্রার্থীর তালিকায় তিনি জনসমর্থনে সবার নজর কেড়েছেন। সবাই তাকে ঘিরে নির্বাচনী প্রচার শুরু করছেন।
স্থানীয়রা জানান, এড.সামসুল হক সবার প্রিয় মানুষ। তিনি সুখে-দু:খে সবসময় সবার জন্য কাজ করেন। তিনি যেকোন কাজে নিবেদিত। এলাকার উন্নয়নমুলক সকল কাজে তার স্মরণীয় অবদান রয়েছে। তিনি ছাত্রজীবন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি রাজনীতি করতে গিয়ে বারবার নির্যাতিত হয়েছেন। কয়েকবার মামলায় পড়েছেন। তাদের পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে গিয়ে হামলা-মামলার শিকার হন।
এড.সামসুল হক, এই কুশাখালী ইউনিয়নের মাদক নিয়ন্ত্রনে সবার জন্য জম হিসেবে কাজ করছেন। তিনি মাদকের জন্য সর্বত্র সহযোগি হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়াও এলাকার স্কুল, মাদ্রাসা, রাস্তা, কালভার্ট, পুল, কাচাঁ সড়ক পাকা করণসহ বিভিন্ন যাবতীয় উন্নয়নমুলক কাজে তিনি অগ্রহায়ণী ভূমিকা পালন করেন। এছাড়াও নারী নির্যাতন, যৌতুকপ্রথা বন্ধ, নারী শিক্ষায় ভূমিকা পালনেও যতেষ্ট ভূমিকা পালন করছেন। এককথায়, তিনি কুশাখালীর সাধারণ খেটে-খাওয়া, দিনমজুর, মেহনতি মানুষের খুবই আপন হিসেবে কাজ করেন। তিনি সবসময় অসহায়, সাধারণ মানুষের পাশে থেকে সর্বত্র সহযোগিতা করেন।
এসময় এড.মোহাম্মদ সামসুল হক বলেন, ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। এখন আওয়ামী লীগের রাজনীতে সংক্রিয় ভূমিকা পালন করছি।
কুশাখালী ইউনিয়ন জেলা সদরের মধ্যে খুবই হতদরিদ্র, মাদক ও অশিক্ষিত গ্রামান্চল হিসেবে পরিচিত। এই ইউনিয়নের সর্বসাধারণের জন্য কাজ করছি। এলাকার প্রতিটি কাচাঁ সড়ক পাকা করন, হতদরিদ্র, অসহায় মানুষের পাশে থাকা, নারী শিক্ষার উন্নয়ন, নারী নির্যাতন, যৌতুকপ্রথা এবং মাদ্রক নিয়ন্ত্রনে কাজ করছি।যুবকদের সুশিক্ষিত ও মাদকমুক্ত করতে কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬সালে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম এডভোকেট কাজী ইকবাল
সাহেবের সাথে ঘনিষ্ট সহযোগী হিসেবে যুবলীগের সংগঠক হিসেবে কাজ করি। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে গিয়ে ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে বারবার বিরোধী পক্ষের হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। আমার পরিবারে অনেকে হামলা-মামলা শিকার হন। এলাকার উন্নয়নে জননেত্রী শেখ হাছিনার উন্নয়নমুলক কাজ করতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চাচ্ছি। আশা করছি দল, সকল দিক বিবেচনা করে নৌকা প্রতিক দিবেন। এবং এমন প্রত্যাশা করছি।
তিনি আরও বলেন, দলের নীতি-নির্ধারকের প্রতি অনুরোধ রহিল, কুশাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ সাধারন মানুষের জনসমর্থনে যিনি এগিয়ে তাকে যেন নৌকা প্রতিক উপহার দেয়া হয়।
রাজনীতিতে তিনি চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য, ১৪ দলীয় ঐক্য জোট- চন্দ্রগঞ্জ থানা কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক, ১৮নং কুশাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মানিত প্রথম সদস্য দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়াও কফিল উদ্দিন ডিগ্রী কলেজের সাবেক ছাত্রনেতা, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি জেলা (১৯৯৩) সংগঠক ছিলেন।
এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন, জামায়াত নেতা গোলাম আযমের বিরুদ্ধে আন্দোলন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আন্দোলন, ফ্রীডম পার্টি উৎখাত আন্দোলন করতে গিয়ে বিভিন্ন পুলিশি হয়রানী ও শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়েছি। এবং বিএনপির চিহ্নিত সন্ত্রাসী সোলেমান বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে আমার বাবা মৃত্যুবরণ করেন। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়ি ছাড়া হই।
তিনি সামাজিকভাবে, পুরাতন দাসের হাট শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্টা, রূপাচরা শফিউল্যাহ উচচ বিদ্যালয়
বিদ্যোৎসাহী ও সভাপতি, পশ্চিম কল্যাণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিবাবক সদস্য, কল্যাণপুর তালিমুল কোরআন নূরানী মাদ্রাসার সভাপতি, দাসের হাট বাজার বণিক সমিতির উপদেষ্টা, পুরাতন দাসের হাট ইদগাঁ মাঠ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, কল্যাণপুর তালিমুল কোরআন নূরানী মাদ্রাসার সভাপতি, দাসের হাট বাজার বণিক সমিতির উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন।
মোহাম্মদ সামসুল হক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস, এলএলবি পাশ করে বর্তমানে জেলা জজকোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন।
ভী-বাণী/ডেস্ক/আমজাদ হোসেন আমু