বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১
প্রথম পাতা » তথ্য-প্রযুক্তি » ডিজিটাল মিডিয়ায় সাফল্যের সাথে কাজ করছে অমৃত মলঙ্গী
ডিজিটাল মিডিয়ায় সাফল্যের সাথে কাজ করছে অমৃত মলঙ্গী
বিশেষ প্রতিবেদন : মহামারীর কঠিন সময়ে সাধারণ তরুণেরা যখন কাজ পাওয়া নিয়ে শঙ্কায়, তখন চাকরি ছেড়ে নিজে অনলাইন গণমাধ্যম দাঁড় করিয়ে প্রায় অর্ধশত মানুষের আর্থিক নিশ্চয়তা দিয়েছেন অমৃত মলঙ্গী। তরুণ এই মিডিয়া উদ্যোক্তা চ্যানেল আইয়ের মতো দেশের শীর্ষস্থানীয় একাধিক গণমাধ্যমে কাজ করে, এখন নিজেই নিউজ হান্ট নামের একটি অনলাইন মিডিয়া হাউজের হাল ধরেছেন প্রধান বার্তা সম্পাদক হিসেবে।
করোনার এই কঠিন সময়ে কেন এমন ঝুঁকি—জানতে চাইলে অমৃত বলেন, ‘ঘরবন্দি সময়ে মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেভাবে সময় কাটিয়েছে তা দেখে আমার মনে হয়েছিল অপার সম্ভাবনা সামনে। ওদিকে প্রিন্ট পত্রিকা তখন অনেকটাই বন্ধ। আমি এই সুযোগটা নিয়েছি। ‘শুরু থেকে আমি লাইভে জোর দেই। এরপর ভিডিও কন্টেন্ট। ফেসবুকের তথ্য অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫ কোটির বেশি মানুষ আমাদের সংবাদ দেখছেন। ডিজিটাল দুনিয়াটা মূলত আমার চারপাশ বদলে দিয়েছে। ফেসবুক, গুগলের বিজ্ঞাপন থেকেই আমরা বেতন দিচ্ছি কর্মীদের।’
বাগেরহাটের চিতলমারীতে শৈশব কাটানো এই তরুণ এসএস নিকেতন খালিশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে ভালো রেজাল্টের পর খুলনায় চলে যান, এরপর সরকারি সুন্দরবন কলেজে এইচএসসি শেষ করে ঢাকায় এসে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি থেকে ইংরেজিতে স্নাতক করেন। এখন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়তে দেশের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
আলাপচারিতায় অমৃত মলঙ্গী জানান, ক্যারিয়ারের শুরুতে দুটি অনলাইনে কাজ করার পর চ্যানেল আইতে যোগ দেন। সেখান থেকে একটি জাতীয় দৈনিকে। পাশাপাশি বিভিন্ন টিভিতে উপস্থাপনা করতে থাকেন। এই সময়ে আরেকটি টিভি চ্যানেলে প্রায় দেড় বছর প্রযুক্তি বিষয়ে সাপ্তাহিক শো করেন। এই প্রযুক্তি জ্ঞানই মূলত তাকে সফলতার পথ দেখিয়েছে।
করোনার শুরুতে সবাই যখন ঘরে বন্দি, তখন টানা তিন মাস রেডিও ভূমিতে ভ্যাকসিন সংক্রান্ত ইতিবাচক খবর নিয়ে প্রতিদিন শো করেন অমৃত। সেই দিনগুলোর কথা স্মরণ করে বলেন, ‘মানুষকে সাহস জোগানোর এবং মানসিকভাবে ভালো রাখার চেষ্টা ছিল আমার। প্রিন্ট, টেলিভিশন, অনলাইন, রেডিও—নানা মাধ্যমে কাজের এই অভিজ্ঞতা আমাকে আরও শক্তিশালী করেছে, সেই শক্তি দিয়েই আমি এখন এগিয়ে যাচ্ছি।’ নিজের কাজের ধরনের বিষয়ে অমৃত বলেন, ‘লাইভে আমাদের ফোকাস বেশি। আমি দর্শকদের সঙ্গে প্রতারণা করতে চাই না, তাই সরাসরি তাদের সব দেখাই, আর চ্যালেঞ্জটা এখানেই। সরাসরি দেখাতে গেলে এর ভেতরই সম্পাদনার কাজ করতে হবে। কতটুকু দেখাবো, কোথায় থামবো সেটি মাথায় রাখতে হয়।
‘আমি দেখেছি নিউজ হান্টের খবর মানুষ বিশ্বাস করেন। আপনি দেখবেন আমাদের লাইভে হাজার—হাজার ইতিবাচক কমেন্ট আসে। গণমানুষের এই আস্থার প্রতিদান আমি দিয়ে যেতে চাই।’ নতুনদের জন্য তার পরামর্শ, ‘অনলাইনে কেউ এগিয়ে যেতে চাইলে মানুষের ব্যঙ্গাত্মক কথা এড়িয়ে যাওয়ার মতো আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। প্রচুর ভুল হবে, এই ভুলগুলোই একদিন ফুল হয়ে ফুটবে।’
ভী-বাণী/ডেস্ক