সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা
মেসির জোড়া অ্যাসিস্ট ও এক গোলে ইকুয়েডরকে ৩-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা। রাতের আরেক ম্যাচে টাইব্রেকারে উরুগুয়েকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে কলম্বিয়া। ফাইনালে ওঠার মিশনে ৭ জুলাই কলম্বিয়ার মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।
এদিন শুরু থেকেই কিছুটা এলোমেলো দুই দল। নিজেদের খেলা গুছিয়ে নিতে খানিকটা সময় নিয়ে নেয়। তবে বল পজিশনে এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। প্রথম আক্রমণও আলবিসেলেস্তেদের। ২২ মিনিটের সেই আক্রমণ থেকে এগিয়ে যেতে পারত আর্জেন্টিনা। দারুণ সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি তারা। ডি-বক্সে গোলরক্ষককে একা পেয়েও লিওনেল মেসি যে শট নেন তা বারে লেগে ফিরে আসে।
মুহূর্তেই প্রতি আক্রমণে ওঠে ইকুয়েডর। তবে মেন্ডিসের শট দারুণভাবে প্রতিহত করেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক মার্টিনেজ। প্রথমার্ধে ৩৭ মিনিটে আবারও গোলের সুযোগ পেয়েছিল ইকুয়েডর। বাঁ প্রান্ত থেকে পারভিস এস্তপিনার ক্রসে অ্যানার ভ্যালেন্সিয়া ঠিকঠাক বলে মাথা ছোঁয়াতে পারেননি।
মিনিট তিনেক পরে মাঝমাঠ থেকে মেসির একক প্রচেষ্টায় আক্রমণে ওঠে আর্জেন্টিনা। ডি-বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে দারুণভাবে বল বাড়ান রদ্রিগো ডি পলের উদ্দেশ্যে। গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন ডি পল। প্রথমার্ধের অন্তিমলগ্নে আরও একবার গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল আর্জেন্টিনা। মেসির সেটপিসে নিকোলাস গঞ্জালেসের প্রথমে হেড পরে ফিরতি শট দক্ষতার সঙ্গে ঠেকিয়ে দিয়েছেন ইকুয়েডরের গোলরক্ষক। প্রথমার্ধের বাকি সময় আর গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ব্যবধান দ্বিগুণের চেষ্টা করে আর্জেন্টিনা। সুযোগ বুঝে ইকুয়েডরও আর্জেন্টাইন রক্ষণ ভেদ করার চেষ্টা করে। বল পায়ে রেখে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখে আর্জেন্টিনা। অবশেষে ৮৪ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লাওতারো মার্টিনেজ। মেসির বাড়ানো বল জালে জড়িয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন ইকুয়েডরকে। অতিরিক্ত সময়ের শেষ দিকে ডি-বক্সের বিপজ্জনক জায়গায় ফ্রি কিক পায় আর্জেন্টিনা। দারুণ শটে ফ্রি কিক থেকে গোল করেন মেসি। ম্যাচে বল পজিশনে অবশ্য এগিয়ে ছিল ইকুয়েডর। আর্জেন্টিনার ৪৭ শতাংশের বিপরীতে ৫৩ শতাংশ বল দখলে ছিল ইকুয়েডরের।