বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » » সাংবাদিক রফিকুলের নামে মামলা আদালতের মাধ্যমেই ফয়সালা চান সাংবাদিকরা
সাংবাদিক রফিকুলের নামে মামলা আদালতের মাধ্যমেই ফয়সালা চান সাংবাদিকরা
কালের কণ্ঠের রাজশাহী ব্যুরোপ্রধান রফিকুল ইসলামের নামে ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুল আলম বেন্টুর করা মামলা প্রত্যাহার নয়, আদালতের মাধ্যমে এই মিথ্যা মামলার চূড়ান্ত সমাধান হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী শাহেদ। আজ বুধবার সকাল ১০টায় নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট এলাকায় রফিকুল ইসলামসহ কালের কণ্ঠের তিনজনের বিরুদ্ধে করা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কাজী শাহেদ বলেন, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বেন্টু নিজের অপকর্ম ঢাকার জন্য কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, পত্রিকাটির বিশেষ প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন ও রফিকুল ইসলামের নামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন একটি মানহানির মামলা করেছেন। বেন্টু নগরজুড়ে সন্ত্রাস ও নানা অপকর্মের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েমে ব্যস্ত। তার কতটুকু মান-সম্মান আছে তা আমরা দেখতে চাই। আমরা মামলা প্রত্যাহার চাই না। আদালতের রায় নিয়ে আমরা প্রমাণ করতে চাই কে সম্মান পাওয়ার যোগ্য আর এই আওয়ামী লীগ নেতারই কতটুকু মান আছে।
কর্মসূচিতে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সভাপতি জামাত খান বলেন, আওয়ামী লীগ দেশ ও দশের কল্যাণের রাজনীতি করে। ছাত্রলীগ নেতা এস এম গোলাম মূর্শিদ গোলাম হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আজিজুল আলম বেন্টু। তা ছাড়া ভূমিদস্যু, বালুখেকো এই নেতা কিভাবে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব করে? আওয়ামী লীগ কি এতই দেউলিয়া হয়ে গেছে যে সন্ত্রাসীদের দলে জায়গা দিতে হবে? এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের উচ্চ-নেতৃত্বের কাছে দুর্নীতিবাজ নেতাদের দল থেকে বহিষ্কার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন যে-ই দুর্নীতি করুক, তার নিস্তার নেই। সাংবাদিকরা দেশের অন্যায়-অপকর্ম তাদের লেখনির মাধ্যমে তুলে ধরছেন। এ কারণে দুর্নীতিবাজরা সাংবাদিকদের হয়রানির উদ্দেশে মিথ্যা মামলা করছে। সাংবাদিকদের দমিয়ে রাখার অপচেষ্টা করছে।
রাজশাহী লোকমোর্চার সভাপতি সেলিনা বেগম বলেন, আমার ছেলেকে বেন্টুর অনুসারীরা বেধড়ক মারধর করেছিল। সেই বিচার আজও পাইনি। বিভিন্ন সময়ে দুর্নীতি-অপকর্ম করলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে বেন্টু আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক তানজিম-উল-হকের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান খান আলম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মামুন-অর-রশীদ, ফটোসাংবাদিক আজহার উদ্দিন, কার্যনির্বাহী সদস্য মিজানুর রহমান টুকু, লোকমোর্চার সদস্য গোলাম কিবরিয়া, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ হারুন-অর-রশীদ। কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে অংশ নেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (রাবিসাস)।