কমলনগরে ১২৮ ফুট লম্বা নির্মিত দৃষ্টিনন্দন কাঠের সেতু
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ইউপি চেয়ারম্যানের উদ্যোগে দৃষ্টিনন্দন কাঠের সেতু নির্মান করা হয়েছে। উপজেলার চর কাদিরা ইউনিয়নের ভুলুয়া নদীর উপর ১২৮ ফুট লম্বা এই সেতুটি জনগনের চলাচলের জন্য নির্মান করা হয়।
দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে এই এলাকায় চলাচলে কোন ধরণের সেতু নেই। প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ নৌকা বা দুর হয়ে চলাচল করতেন। ব্রীজ বা সেতু নির্মান দীর্ঘ দিনের দাবী ছিল। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি।
স্থায়ী চেয়ারম্যান খালেদ সাইফুল্লাহ এলজিএসপি ২০-২১ অর্থ বছরের বরাদ্দ থেকে এই দৃষ্টিনন্দন কাঠের সেতুটি নির্মান করা হয়েছে। সেতুটি নির্মানে স্থায়ীদের যাতায়ত ও চলাচলে ব্যাপক সুবিধা হচ্ছে। কচিকাচা বাচ্চারা স্কুলে যেতে আর ঝুকিতে পড়বে না। এছাড়াও এলাকাটি কৃষিনির্ভর। এখানে প্রচুর পরিমানে কৃষি পন্য উৎপাদন হয়। যা দেশের প্রায় অন্চলে রপ্তানি করা হয়। কৃষক উৎপাদিত পন্য বাজারজাত করতে সমস্যায় পড়বে না। এই সেতু নির্মিত হওয়ায় স্থানীয় লেদার বাপের সমাজ, বাবর ভূইয়ার সমাজ, চরপাগলা, ডাক্তারপাড়া ওফজুমিয়ার হাট এলাকায় যাতায়াতে কোন ধরণের সমস্যা হবে না।
চর কাদিরা ইউপি চেয়ারম্যান খালেদ সাইফুল্লাহ জানান, চর কাদিরা ইউনিয়নে দীর্ঘ দিনে জনগনের দাবি ছিল একটি সেতু বা ব্রিজ। জনগনের দীর্গদিনের প্রাণের দাবি পূরণ হয়েছে।
তিনি আরও জানান, শুধু একটি সেতু নয়, চরকাদিরা ইউনিয়ন ব্যাপী আরো কয়েকটি সেতু, পোল, কালভার্ট, কাঁচা রাস্তা ও ব্রীজ নির্মাণ সহ ব্যাপক উন্নয়নমুলক কাজ করা হয়েছে। আর কিছু কাজ চলমান রয়েছে। তবে সরকারী বরাদ্দে এখানে পাকা ব্রীজ নির্মানে আবেদন করা হয়েছে।
এর আগে ঐ এলাকায় বসবাসকারী মানুষগুলো নদীর উপর বাঁসের সাঁকো দিয়ে পারাপার হতেন।এতে শিশু বৃদ্ধা সহ চলাচলকারীরা নানা দূর্ঘটনার শিকার হন। বর্ষা মৌসুমে এই এলাকার মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে হাটবাজারে যাতায়াত করতে নানা বিড়ম্বনা সম্মুখীন হন।
নির্মিত সেতুটি দেখতে দুর দুরান্ত থেকে বহু কৌতুহলী মানুষ সেতুটি দেখতে প্রতিদিন ভীড় জমাচ্ছে। গ্রামবাসীদের মধ্যে দেখা গেছে সীমাহীন আনন্দ।সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার টাকা। সেতুটির দৈর্ঘ্য ১২৮ ফুট এবং প্রস্ত ৭ ফিট ।
স্থানীয় বাবর ভূইয়া জানান, সেতুটি নির্মানে এলাকার জনগনের ব্যাপক উপকার হবে। সেতুটি না থাকায় ছাত্রছাত্রীরা বর্ষাকালে নৌকা দিয়ে নদী পারাপার হতেন। এছাড়াও বয়স্ক মহিলা ও রোগীদের অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছে। এই কাঠের সেতুটি নির্মাণ হওয়ায় এখন আর কোন ধরণের সমস্যা নেই। সেতুটি নির্মিত হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে আনন্দ দেখা গেছে। তবে স্থানীয়দের প্রাণের দাবী কাঠের সেতুটি থাকা কালীন এখানে যেন স্থায়ীভাবে ইটের ব্রীজ নির্মান কর হয়।
লক্ষ্মীপুর-৪ কমলনগর-রামগতি আসনের সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) আবদুল মান্নান বলেন, চর কাদিরা ভুলুয়া নদীর উপর কাঠের নির্মিত সেতুকে স্থায়ীভাবে পাকা সেতু বা ব্রীজে রুপান্তর করা হবে। এই বিষয়ে স্থাণীয় চেয়ারম্যানের সাথে আলাপ হয়েছে।