কমলনগরে ‘মানবিক’ ইউএনও কামরুজ্জামান
আমজাদ হোসেন আমু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মহামারী করোনাকালীন সময়ে অসহায় মানুষের পাশে থেকে মানবিকতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান। তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের পর থেকেই উপকূলীয় অন্চল ও বিভিন্ন এলাকায় অসহায়, নিম্ন আয়ের পরিবারকে নিজস্ব আঙ্গিকে বিভিন্নভাবে আর্থিক-অনার্থিক সহযোগিতার করে দৃষ্ঠান্ত রেখেই যাচ্ছেন। তার এমন কার্যক্রমে প্রসাশনিক ও সামাজিকভাবে সবার নজর কেড়েছে।
ইতিমধ্যে তিনি অসহায় গৃহহীন ৫ শত পরিবারকে সরকারী বরাদ্দে ঘর নির্মানের করে দিচ্ছেন। এরমধ্যে কিছু ঘরের কাজ শেষ হলেও বাকী কাজগুলো চলমান রয়েছে। এছাড়াও তিনি উপজেলার এক নরসুন্দর পিতার মেডিকেলে চান্স পাওয়া মেধাবী সন্তানকে ভর্তিবাবত ব্যক্তিগত ২০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করেন। পথশিশুদের ঈদের পোশাক ক্রয় করতে ১০ হাজার টাকা অর্থ সহায়তাও প্রদান করেন। তিনি তার ব্যক্তিগত ফান্ড থেকে প্রতিনিয়ত এমন দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করে যাচ্ছেন। যাহা সত্যি -ই প্রশংসার দাবিদার। তার এমন দৃষ্ঠান্ত এক মানবিকতার পরিচয় বহন করছে।
এসময় নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান জানান, তিনি অসহায় মানুষের জন্য কাজ করতে চান। মানুষের সেবা করা একটি মানবিক মহত্বের কাজ। সমাজের অসহায় মানুষগুলো সবসময় নির্যাতিত। এদেরপাশে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে এসে সহযোগিতায় করতে হবে। তাহলে সমাজ আলোকিত হবে।
তিনি আরও জানান, উপকূলীয় অন্চলে গৃহহীন মানুষের জন্য সরকারী বরাদ্দের ঘর নির্মান করতেছি। কমলনগরে প্রায় ৫ শত ঘর নির্মান করা হচ্ছে। তিনি নিজে-ই তদারকি করে এসব কাজ করছে। খু ব দ্রুত গৃহহীন পরিবারের মাঝে এসব ঘর বুঝিয়ে দেয়া হবে। সরকারের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। তিনি আশা করেন, অত্র উপজেলায় গৃহহীন মানুষ বেশিদিন থাকবে না। সরকার প্রতিটি গৃহহীনদের জমিসহ ঘর নির্মান করে দিচ্ছে।
তিনি আরও জানান, হতদরিদ্র মানুষের জন্য সরকারি ভিজিডি, ভিজিএফ, জেলে কার্ড, মাতৃত্ব ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, সরকারি ঘর বরাদ্দের নামে স্থানীয় ভাবে চলমান অনিয়ম হয়রানির উল্লেখ করে তা বন্ধে জোর কাজ চলছে। অতিদ্রুত দুর্নীতি দুর হবে। অসহায়, সাধারণ দু:স্থ পরিবার যেন সরকারী বরাদ্দ থেকে বন্চিত না হয়। সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। পরিশষে, সবার সহযোগিতায় কামনা করেন।
ভী-বাণী/ ডেস্ক