ডায়রিয়া রোগি নিয়ে ডা. আকিল এর পরামর্শ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : দেশের প্রচলিত ডায়রিয়া বা কলেরা রোগ নিয়ে লক্ষ্মীপুুরের কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য বিভাগের ডা. আকিল আল ইসলামের কিছু পরামর্শ…
ডায়রিয়া রোগী সম্পর্কে শনিবার সন্ধ্যায় ডাক্তার আকিল আল ইসলাম তার ফেসবুকে যে পরামর্শ দেন তা হুবহু তুলো ধরা হলো।
বর্তমানে ডায়রিয়ার যে প্রকোপ কমলনগরে দেখা যাচ্ছে, তাতে নিশ্চিত এইটা কলেরা। এতো বেশি সংখ্যক লোক এতো বেশি ডিহাইড্রেশন নিয়ে আসছে,যেটা কলেরা ছাড়া সম্ভব না।কারো কারো ১৫-২০ লিটার স্যালাইন ও লাগতেছে। খুব শীঘ্রই বাজারে খাবার স্যালাইন এর ঘাটতি দেখা দিবে। তাই সবাই বাসায় স্যালাইন প্রস্তুত এর নিয়ম শিখে নিন।
এতো রোগীর কলেরা হওয়ার কারন কি??
কলেরার মুল সোর্স ই হল দূষিত পানি।খাবার দাবার থেকে ছড়ানোর সম্ভাবনা কম। চর ফলকন, লরেঞ্চ, মতির হাট এই দিকের রোগি বেশি দেখা যাচ্ছে। মানে অনেক টা নদী তীরবর্তী অঞ্চলে যারা আছেন। নদীর পানি অন্যতম বড় সোর্স, কোন সন্দেহ নাই। আবার তীব্র গরমে পুকুর, খাল বিলের পানি শুকিয়ে যাওয়ার কারনে দুষনের মাত্রা বাড়ে। পুকুরের পানি ব্যাবহার বন্ধ করে দিন। এমনকি পুকুরের পানিতে থালা বাসন ধোয়া ও বন্ধ করতে হবে। আমি যদি ভুল না করি, সামনের ২ সপ্তাহে এখনকার তুলনায় রোগী ৩ গুন হবে।
জনপ্রতিনিধি যারা আছেন তাদের অনুরোধ করবো আপনারা মাঠে নেমে জনসচেতনতা তৈরি করুন।
এবার আসি চিকিৎসায়…
কলেরার মুল চিকিৎসা কি?
খাবার স্যালাইন, খাবার স্যালাইন এবং খাবার স্যালাইন। এর উপরে কিছু নাই। কারো কারো শিরায় স্যালাইন দেওয়া লাগতে পারে। এন্টিবায়োটিক খুব একটা কার্যকর না। তবে বাচ্চাদের এজিথ্রোমাইসিন আর বড়দের ক্ষেত্রে এজিথ্রোমাইসিন / ডক্সিসাইক্লিন ব্যাবহার করা যেতে পারে।
এছাড়াও সবাইকে স্বাস্থ্যকর খাবার ও বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। বাহিরের খাবার একদমই খাওয়া যাবে না। এবং করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে।