দু:খ নেই তবে আক্ষেপ আছে-দীঘি
প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। ঢাকাই চলচ্চিত্রের সম্ভাবনাময়ী একটি নাম। নায়িকা হিসেবে কাজ করার পর থেকে যেন দম ফেলার ফুরসত পাচ্ছেন না তিনি। ইতোমধ্যে এই নায়িকার দুই দুইটি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে।
বর্তমানে দীঘি রয়েছেন মুম্বইয়ে। ‘বঙ্গবন্ধু’ সিনেমার শুটিংয়ের জন্য দ্বিতীয়বারের মতো পার্শ্ববর্তী এই দেশটিতে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি। বায়োপিকে তার অংশের কাজ শেষ হলেও লকডাউন পরিস্থিতির কারণে দেশে ফিরতে বিলম্ব হচ্ছে। সেখান থেকেই তিনি কথা বলেন ভোরেবাণী’র সাথে।
কি অবস্থা? মুম্বইতে আটকে গেলেন নাকি? দীঘি বলেন, আসলে ৫ এপ্রিলের মধ্যেই ঢাকায় ফেরার কথা ছিল। কিন্তু লকডাউনের কারণে একটু দেরি হচ্ছে। হয়তো আরও দুই তিন দিন লাগতে পারে। তারপর চলে আসবো। তবে আমি উপভোগ করছি এই সময়টাকে। বায়োপিকে আপনার অংশের কাজ শেষ। এবারের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? দীঘি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ্। বায়োপিকে আমার অংশের কাজ শেষ হয়েছে ভালো ভাবে। অভিজ্ঞতার কথা ইতোমধ্যে বলেছি। কারণ শুটিংয়ে এখানে দ্বিতীয়বার হলো যুক্ত হয়েছি। যেটা আমি বলতে চাই, ছবির পরিচালক শ্যাম বেনেগাল স্যার আমার প্রশংসা করেছেন এবার। তিনি বলেছেন আমি ভালো করেছি।
অনেকদিন পর এখানে যোগ দেয়ার পর সবাই আমাকে যেভাবে সাদরে গ্রহণ করেছে সেটা খুবই ভালো লেগেছে। আপনার অভিনীত ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু দর্শক সিনেমাটি দেখতে পারছেন না। এ নিয়ে আক্ষেপ আছে? দীঘি বলেন, আক্ষেপ নেই, দুঃখ আছে। এখনও আক্ষেপ রাখার মতো অবস্থায় যাইনি। কেউ তো জানতাম না লকডাউন দিয়ে দিবে। আশা করি লকডাউন উঠলে সিনেমাটা আবার হলে চলবে।
ঢাকায় আসার পর কোনো শুটিং আছে? দীঘি বলেন, একটা সিনেমার কাজ করার কথা আছে। সব ঠিক থাকলে কাজ করবো। কিন্তু মুম্বই থেকে ফেরার পর কিছুদিন বিশ্রামে থাকবো। ১০ দিনের মতো সেটা। একটা ওয়েব ফিল্মে কাজ করেছিলেন। সেটার খবর কী? দীঘি বলেন, ডাবিং করলেই ওয়েব ফিল্মের কাজটি শেষ হয়ে যাবে।