বুধবার, ২৪ মার্চ ২০২১
প্রথম পাতা » » ২৪ মার্চ ইতিহাসের কালো অধ্যায়
২৪ মার্চ ইতিহাসের কালো অধ্যায়
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চকে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার এরশাদের ক্ষমতা দখলের দিনকে কালো দিন আখ্যায়িত করে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়। এ দিনে তৎকালীন সেনাপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জনগণের ভোটে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ও সরকারকে বন্দুকের নলের মুখে অবৈধভাবে ক্ষমতাচ্যুত করে শহীদ জিয়ার পুণরুজ্জীবিত বহুদলীয় গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ বহুদলীয় গণতন্ত্রকে হত্যা করে সংবিধান স্থগিত করে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল বাক, ব্যক্তি, বিবেক, মুদ্রণ ও সমাবেশের স্বাধীনতাসহ মানুষের সব নাগরিক স্বাধীনতা। স্বৈরাচার এরশাদের অবৈধ ক্ষমতা দখলের এই দিনটি জাতির ইতিহাসে কালো দিবস হিসেবে চিহ্নিত।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রসমূহে স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকারকে জোরালোভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। কিন্তু ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চের এই দিনটিতে স্বৈরাচার এরশাদ অবৈধভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে ইতিহাসের নির্লজ্জ স্বৈরতন্ত্র কায়েম করে। এরশাদ কেবলমাত্র ক্ষমতা দখল করে ক্ষান্ত থাকেননি বরং জনগণের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়ে দীর্ঘ ৯ বছর দেশবাসীকে এক চরম বিভিষিকাময় দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে নিক্ষেপ করেছিলেন। অনৈতিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, সীমাহীন দুর্নীতিই স্বৈরাচারী শাসনের অবলম্বন হয়ে দাঁড়ায়। ৯ বছর ছাত্র-গণআন্দোলন নিষ্ঠুরভাবে দমন করতে গিয়ে স্বৈরশাসকের পেটোয়া বাহিনী গুলি চালিয়ে হত্যা করে অসংখ্য ছাত্র-জনতাকে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত জাতির জীবনে এক কলঙ্কময় অধ্যায় রচিত হয়েছিলো। সেই স্বৈরশাসকের সঙ্গে অভিন্ন বৈশিষ্ট্যের বর্তমান অগণতান্ত্রিক শাসকগোষ্ঠীর আঁতাত পুনরায় বহুমাত্রিক গণতন্ত্রের পথচলাকে আটকিয়ে দিয়ে দেশের মানুষকে খাঁচায় বন্দি করেছে।
তিনি বলেন, দেশে এখন মানুষের বাক, ব্যক্তি, মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ সব নাগরিক স্বাধীনতা সম্পূর্ণভাবে অপহৃত করা হয়েছে। গণতন্ত্র চিরস্থায়ীভাবে দেশ থেকে বিদায় করে দেওয়ার লক্ষ্যেই বারবার যিনি গণতন্ত্রকে স্বৈরাচারের বন্দিশালা থেকে মুক্ত করেছেন সেই আপোষহীন নেত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে আটক করে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষকে নির্বাক করে রাখতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে নির্দয়ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। দেশে এক অসহনীয় ঘোর দুর্দিন বিরাজমান।