পড়ে রয়েছে ভাঙনে স্তূপ, ভাঙন যেন থামছে না
নিজস্ব প্রতিবেদক : মেঘনার ভয়াবহ ভাঙনে হারিয়ে যাচ্ছে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে বিস্তৃর্ণ জনপথ। নদী পাড়ে হাঁটলে চোখে পড়ে ভাঙনে স্তূপ। শত বছরে দালান,মসজিদ,ক্লিনিক সহ বেশ স্থাপনাগুলো মুহূর্তেই বিলিন হচ্ছে। ভাঙনের তীব্রতা এতটাই বেশি স্থাপনাগুলো চোখের পলকে ভেঙে পড়ছে নদী গর্ভে। ভাঙন যেন থামছে না।
গত এক মাসে উপজেলার লুধুয়া বাজার এলাকায় ফলকন স্কুল,ক্লিনিক,মসজিদ হাজার মানুষের চোখের সামনে কয়েক সেকেন্ডে নদী গর্ভে ভেঙে পড়ে। এ যেন এক ধ্বংসযঞ্ঝ।
ভাঙনের তীব্রতা এতটাই বেশি মানুষ পরিবার পরিজন ও প্রযোজনীয় জিনিসপত্র অন্যত্র সরানোর সময়টুকুও পাচ্ছে না। ভাঙনের দৃশ্যটা এমন, কিছুক্ষণ পর হঠাৎ পানি এসে মুহূর্তে সবার সামনে থেকে বিশাল গোলাকার আকৃতিতে একটা অংশ তলিয়ে নিয়ে যায়।
এভাবে ভাঙনের মুখে গত একমাসে প্রায় দেড় কিমি: আবাস ভূমি তলিয়ে গেছে। উপজেলার প্রায় পূর্ব-পশ্চিমে বিশ কিমি: ভেঙেছে। উপজেলা সদর হাজির হাট, থানা, কলেজ, উপজেলা ভবন সহ বেশ পুরানো স্থাপনাগুলো নদী ভাঙন থেকে মাত্র দেড় কিমিঃ দুরত্বে রয়েছে। ভাঙনে গতি এভাবে থাকলে উপজেলাটি থাকবে কি না এমনটা প্রশ্ন জনগনের……
দীর্ঘ তিন যুগের বেশি সময় ধরে মেঘনা তার নিজ গতি ভাঙছে। ভাঙন রোধে কাজ হবে এমনটা আশ্বাস দিলেও পরিকল্পিতভাবে স্থায়ী বাঁধ হচ্ছে না।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অব:) আবদুল মান্নান, যেখানে ভাঙন, সেখানে জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন কিছুটা ঠেকাতে উদ্যোগ নেন। তার এ উদ্যোগে অস্থায়ী বাজেটে কাজ চলছে। কিন্তু কাজের মান খুবই নিম্নমানের হয়েছে,এমনটা জানান ভুক্তভোগী জনগন।
তারা জানান, যেভাবে উন্নত বালু,জিও ব্যাগ ও দক্ষ শ্রমিক দিয়ে কাজ করার কথা সেভাবে ঠিকাদার কাজ করেন নি। এবং জিও ব্যাগ সঠিক সময়ে প্রয়োজন মোতাবেক ডাম্পিং করা হয়নি। কিছু কাজ হলেও মান খুবই নিম্নমানের ছিল। তারা আরও জানান, ভাঙনের তীব্রতা খুবই ভয়াবহ ও ভয়ংকর। এ ভাঙনের মুখে অস্থায়ী বাঁধ কাজে আসবে না। এখানে স্থায়ীভাবে পরিকল্পিত বাধঁ দিতে হবে।
চর ফলকন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজ্বি হারুনুর রশিদ জানান, মেঘনার দীর্ঘ ভয়ংকর ভাঙনে উপজেলার বিস্তূর্ণ জনপথ। গত কয়েক দিনে টানা ভাঙনে চর ফলকন ইউনিয়নের প্রায় ভেঙে গেছে।এভাবে কিছুদিন ভাঙতে থাকলে খুব শ্রীর্ঘই এ ইউনিয়নটি নদী গর্ভে হারিয়ে যাবে।
তিনি আরও জানান, বারবার ভাঙন রোধে কাজ হবে বললেও হচ্ছে না। খুব দ্রুত পরিকল্পিতভাবে ভাঙন রোধে কাজ না করলে কমলনগর উপজেলাটি নদী গর্ভে বিলীন হবে।
খোলাডাক / এএ