এ মাসেই ৫৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগে গণবিজ্ঞপ্তি
শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছেন নিয়োগ প্রত্যাশীরা। ইতোমধ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি মিলেছে। শূন্যপদের তথ্য সংশোধনের কাজ চলছে।
এ (মার্চ) মাসেই ৫৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশের লক্ষ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরিকল্পনা করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
শনিবার (২০ মার্চ) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আশরাফ উদ্দিন বলেন, গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য কাজ চলছে। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবো। গত বুধবার এই বিষয়ে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেওয়ার জন্য টেলিটকের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। তারা আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠান প্রধানরা আমাদের কাছে শূন্যপদের যে তথ্য পাঠিয়েছেন সেটি যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। হালনাগাদকৃত তথ্য পেলে সেগুলো আমরা নথিভুক্ত করব। ৫৭ হাজারের বেশি তথ্য নথিভুক্ত করতে সময়ের প্রয়োজন। তবে আমরা সবকিছুই দ্রুত করতে চাই। কাজ আমাদের শেষ পর্যায়ে আছে। আশা করছি চলতি মাসেই গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা যাবে। তবে সুনির্দিষ্ট তারিখ বলতে চাই না।
এদিকে, চলতি মাসে গণবিজ্ঞপ্তি জারি না হলে আমরণ অনশনে যাচ্ছে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী শিক্ষক ফোরাম।
ফোরামের সভাপতি শান্ত আহমেদ বলেন, বহুল কাঙ্খিত গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবিতে বহুবার স্মারকলিপি প্রদান, বিভিন্ন সময়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎসহ প্রতিকী অনশন পালন করেছি। আর কোন আশার বাণী নয়, ২৯ তারিখের মধ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হলে ৩০ তারিখ থেকে আমরন অনশন শুরু হবে। যেখানে সারা দেশ থেকে প্রায় হাজার খানেক নিয়োগ প্রত্যাশী নিবন্ধনধারী অংশ নিতে পারবেন বলে আশা করছি।
জানা গেছে, কয়েক দফা সংশোধনের পর ও এমপিওবঞ্চিতদের সুপারিশের পর এ মুহূর্তে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের ৫৬ হাজার এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক শূন্যপদের তথ্য এনটিআরসিএর কাছে আছে। যদিও নতুন করে শূন্যপদের প্রচুর ভুল তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। যেগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। যাচাই শেষ অর্ধলক্ষাধিক শিক্ষক শূন্যপদে নিয়োগ সুপারিশের লক্ষ্যে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।