জুমার দিন ক্ষমা ও মর্যাদার সহজ আমল
ধর্ম ডেস্ক.
ইসলামি শরিয়তে জুমার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। এ দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিনও বলা হয়। এ দিনের নামে কোরআনে একটি স্বতন্ত্র সুরা (সুরা জুমা) নাজিল করা হয়েছে। যে সুরার মধ্যে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘অতঃপর নামাজ সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান কর ও আল্লাহকে অধিকরূপে স্মরণ কর; যাতে তোমরা সফলকাম হও।’- সুরা জুমা, আয়াত ১০।
জুমার নামাজের জন্য তাড়াতাড়ি মসজিদের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করাই এ দিনের প্রধান কাজ। এ দিন ক্ষমা মর্যাদা পাওয়ার সহজ আমল ঘোষণা করেছেন বিশ্বনবি। জুমার দিনের মর্যাদাপূর্ণ এ আমলগুলো কী?
আজানের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত মসজিদের দিকে যাওয়ার ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছে স্বয়ং আল্লাহ তালা। যারা এ নির্দেশ মেনে প্রথম ওয়াক্তে মসজিদে গিয়ে প্রথম সারিতে অবস্থান নেবে তাদের জন্য তিন তিন বার মাগফেরাতের দোয়া করেছেন বিশ্বনবি।
হাদিসে এসেছে-
হজরত ইরবাজ ইবনে সারিয়া (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) প্রথম কাতারের লোকদের জন্য তিনবার মাগফেরাতের (ক্ষমার) দোয়া করতেন। আর দ্বিতীয় সারির লোকদের জন্য একবার মাগফেরাতের দোয়া করতেন’ (ইবনে মাজাহ, নাসাঈ)
যারা প্রথম ওয়াক্তে মসজিদে উপস্থিত হতে পারবেন তাদের দ্বারাই সম্ভব প্রথম সারিতে অবস্থান করা। আর তাতে মিলবে দুটি ফজিলত ও মর্যাদা। একটি হলো- প্রথম ওয়াক্তে মসজিদে যাওয়ার কুরবানির সাওয়াব আর দ্বিতীয়টি হলো আল্লাহর কাছে ক্ষমা লাভ।
কেননা মুমিন মুসলমানের প্রতি রাসুল (সা.) এর নসিহত ছিলো যে, তারা জুমার দিন প্রথম ওয়াক্তে মসজিদে যাবে এবং প্রথম কাতারে অবস্থান করবে। আর তাতে মিলবে অসাধারণ সব নেয়ামত ও পুরস্কার।
শুধু তা-ই নয়, মানুষ যদি প্রথম কাতারের ফজিলত কত বেশি? তা জানতো তবে প্রথম সারিতে বসার জন্য প্রতিযোগিতা ও লটারির সাহায্য নিতো।
হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু হোরায়রা (রা.) বলেন, ‘মানুষের প্রথম কাতারের সাওয়াব ও পুরস্কার সম্পর্কে জানা নেই। যদি প্রথম কাতারের সাওয়াব ও পুরস্কারের কথা জানতে পারতো তা হলে প্রথম সারির জন্য লটারির সাহায্য নেয়ার প্রয়োজন হতো।’ (বুখারি ও মুসলিম)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, জুমার দিনকে গুরুত্ব দেয়া। আগে পবিত্রতা অর্জন করে মসজিদে যাওয়া। প্রথম ওয়াক্তের দিকে লক্ষ্য রাখা এবং মসজিদের প্রথম কাতারে অবস্থান করা। মনে রাখা জরুরি যে, প্রথম কাতারে বা সারিতে অবস্থানকারীর মাগফেরাতের জন্য প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিন বার দোয়া করেছেন।