বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১
প্রথম পাতা » বিবিধ » আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোর পূর্বক জমি দখলের চেষ্টা করছে মামলার বাদী
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোর পূর্বক জমি দখলের চেষ্টা করছে মামলার বাদী
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের চরলরেঞ্জ ইউনিয়নে জামাল উদ্দিন (নিজাম) (৬০) নামে এক বৃদ্ধের জমি কারসাজি করে দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত তাজুল ইসলাম ওই ইউনিয়নের ফয়েজ আহম্মদ মুন্সির ছেলে। ভুক্তভোগী নিজাম উদ্দিন উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের আব্দুর রব তহসিলদারের ছেলে।
স্থানীয় সিরাজ উদ্দিন ও ইউপি সদস্য ফখরুল ইসলাম জানান, স্থানীয় আব্দুল বারেকের চার ছেলে মহসিন, মোসলেহ উদ্দিন, অজিউল্ল্যাহ দুলাল ও সালাউদ্দিনের সম্পত্তির পশ্চিম পাশে চলাচলের জন্য চার ফুট রাস্তা রেখে বন্টন করে দেয়া হয়। পরে মোসলেহ উদ্দিন ও অজিউল্ল্যাহ দুলালের কাছ থেকে নিজাম উদ্দিন ২২.৭৬ শতক সম্পত্তি ক্রয় করে ভোগ দখল, সীমানা পিলার নির্মাণ এবং মহসিনের কাছ থেকে তাজুল ইসলামের স্ত্রী মাশকুরা বেগম ৪ শতক সম্পত্তি ক্রয় করে ভোগ দখল ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেন।
তারা আরও জানান, সম্প্রতি মাশকুরার স্বামী ওই সম্পত্তি নিয়ে নিজামের সাথে বিরোধ শুরু নিজের স্ত্রীকে দিয়ে বাদী করে জেলা আদালতে ১৪৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন জমির মালিক নিজামের বিরুদ্ধে। সেই মোতাবেক স্থানীয় থানার পুলিশ জমিতে উভয় পক্ষকে কোন ধরণের কাজ না করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু পরক্ষণে বাদী নিজেই ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে জোর পূর্বক কাজ শুরু করে।
ভুক্তভোগী নিজাম উদ্দিন জানান, প্রায় ১৫ বছর পূর্বে চরলরেঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের পাশে মোসলেহ উদ্দিন ও দুলালের কাছ থেকে জমি ক্রয় করি। এবং আমিন দ্বারা পরিমাপ করে সীমানা পিলার দিয়ে দখলে রাখি। একই দাগের সম্পত্তির মালিক মহসিনের কাছ থেকে ৪ শতক সম্পত্তি মাশকুরা বেগম ক্রয় করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে। দীর্ঘদিন পর মাশকুরার স্বামী এ সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ শুরু করে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, তারা নিজেরা আদালতে ১৪৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন। এখন তারাই আদালত অমান্য করে জোরপূর্বক সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করছে। এনিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিক বৈঠক করার পরও কোন সুরাহা মানছে না তাজুল। তিনি তার সম্পত্তির কাছে গেলে তাকে প্রাণে হত্যারও হুমকি দিচ্ছেন। প্রয়োজনী কাগজপত্র, দলিল থাকার পর জমিতে যেতে পারছে না তিনি। স্থানীয় তহশিলদার তদন্ত করে সঠিক রিপোর্ট দেয়ার পরও বাদীর স্বামী তাজুল মানছে না। তাই তিনি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু সমাধান দাবী করেন।
এদিকে অভিযুক্ত তাজুল ইসলাম জানান, তাঁর স্ত্রীর খরিদাকৃত সম্পত্তি তিনি সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে ভোগ দখল করছে। নিজামের সম্পত্তি তার ঘরের সামনে। এছাড়া তিনি দলিল এতদিন পড়ে দেখেননি। দলিল পড়ে যখন বুঝতে পারে তখন তিনি নিজামকে ওই সম্পত্তিতে না যাওয়ার জন্য নিষেধ করেন।
থানা এসআই মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার কোন সুযোগ নেই। তদন্ত চলছে। বাদী এবং বিবাধী উভয়কে নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে বলা হয়েছে। কেউ ভঙ্গ করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভী-বানী/ডেস্ক