শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩১

Bhorer Bani
শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » ফিচার » খোয়া সাগর দিঘি আর জমিদার বাড়ি ঘিরে লক্ষ্মীপুরের নতুন পর্যটন
প্রথম পাতা » ফিচার » খোয়া সাগর দিঘি আর জমিদার বাড়ি ঘিরে লক্ষ্মীপুরের নতুন পর্যটন
৬৪১ বার পঠিত
শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

খোয়া সাগর দিঘি আর জমিদার বাড়ি ঘিরে লক্ষ্মীপুরের নতুন পর্যটন

 

 

---

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পালের চোখে, ‘লক্ষ্মীপুরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে ‘দালাল বাজার জমিদার বাড়ি ও খোয়া সাগর দিঘি’। সম্প্রতি প্রাচীন এই নিদর্শন দুটি সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়েছে। চেষ্টা করা হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে দালাল বাজার জমিদার বাড়ি ও খোয়া সাগর দিঘিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে।

লক্ষ্মীপুরের ইতিহাস অনেক পুরোনো। যার প্রমাণ স্বরূপ জেলার বিভিন্ন স্থানে বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্থাপনা ও নিদর্শন দেখা যায়। এর মধ্যে সদর উপজেলার দালাল বাজার ‘জমিদার বাড়ি’। প্রায় ২৫০ বছর আগে নির্মাণ করা জমিদার বাড়িটি এখনও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এর পাশেই রয়েছে ইতিহাস বিজড়িত বিশাল এক দিঘি। যার নাম ‘খোয়া সাগর দিঘি’। প্রায় শত বছর ধরে অযত্নে আর অবহেলায় পড়ে থাকা ঐতিহাসিক এই দু’টি নিদর্শন দুটি এখন পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে।

জানা  যায়, বহু আগ থেকেই লক্ষ্মীপুর জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা প্রায়ই এখানে ঘুরতে আসেন। চলচ্চিত্রের শূটিংয়ের ক্ষেত্রেও নির্মাতাদের অনেকের নিকট পছন্দের জায়গা এ দুটি স্থান। ইতোমধ্যে এ দু স্থানে বেশ কয়েকটি নাটক ও ছায়াছবির শূটিং হয়েছে।

গত কয়েক দিনে আগে আলা উদ্দিন সাজুর পরিচালনায় সব সুখ তোর জন্য ছবির শূটিং হয়েছে জমিদার বাড়িতে।

তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা নিরব অধিকারী বলেন, ‘পুরোনো দিনের কাহিনী অথবা ভৌতিক চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে দালাল বাজার জমিদার বাড়িটি খুবই উপযুক্ত। ইতোমধ্যে এখানে আমার রচনা ও পরিচালনায় ‘মৃত্যুরূপ’ এবং ‘বিসর্জন’ নামে দুটি স্বল্প দৈর্ঘ্য নাটক নির্মাণ করা হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে জমিদার বাড়ি ও খোয়া সাগর দিঘিটি সংস্কার এবং এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা গেলে শূটিং লোকেশন হিসেবে এটা সবাই পছন্দ করবে।’

দালাল বাজার জমিদার বাড়ি ও খোয়া সাগর দিঘি: 

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজার থেকে প্রায় ২৫০ গজ পূর্বে ঢাকা-রায়পুর মহাসড়কের উত্তর পাশে ‘খোয়া সাগর দিঘি’। এ দিঘিতে জমির পরিমাণ প্রায় ২২ একর। দিঘি বরাবার মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে জমিদার বাড়ির মঠ, স্থানীয়দের কাছে যা মঠবাড়ি বলে পরিচিত।

দালাল বাজার থেকে দক্ষিণ দিকে যাওয়ার প্রধান সড়কের পাশেই পুরোনো জমিদার বাড়িটি। পাঁচ একর জমির ওপর নির্মিত এ জমিদার বাড়িতে রয়েছে পরিত্যক্ত রাজ গেইট, রাজ প্রাসাদ, অন্দরমহল প্রাসাদ, শান বাঁধানো ঘাট, নাট মন্দির, পূঁজা মন্ডপ, বিরাটাকারের লোহার সিন্দুক, কয়েক টন ওজনের লোহার ভীম, বিশাল বাগান ও জমিদার বাড়ির প্রাচীর প্রভৃতি। এছাড়াও রয়েছে ছোট-বড় তিনটি পুকুর। দীর্ঘদিন অরক্ষিত থাকায় বিচার আসন ও নৃত্য আসনটি চুরি হয়ে যায় বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ৪০০ বছর আগে জনৈক লক্ষ্মী নারায়ণ বৈষ্ণব কলকাতা থেকে লক্ষ্মীপুরে কাপড়ের ব্যবসা করতে আসেন। তার উত্তর পুরুষরা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর বাণিজ্যিক এজেন্সী এবং পরে জমিদারী লাভ করেন। ১৭৬৫ সালে সর্বপ্রথম লক্ষ্মী নারায়ণ বৈষ্ণবের নাতি (পুত্রের সন্তান) গৌর কিশোর রায় রাজা উপাধী লাভ করেন। সেই সময় ‘খোয়া সাগর’ নামক দিঘিটি খনন ও জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করা হয়।

স্থানীয়দের মতে,

লক্ষ্মীপুরের ঐতিহ্যবাহী দালাল বাজার জমিদার বাড়ি ও খোয়া সাগর দিঘিকে অবশ্যই সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনা প্রয়োজন। এজন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জমিদার বাড়ি ও দিঘিটি রক্ষণাবেক্ষণ, পরিকল্পিতভাবে সংস্কার করা, পরিচালনার জন্য লোকবল নিয়োগ করা, সরকারিভাবে রেস্ট হাউজ নির্মাণ করা এবং ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য সব রকমের সুবিধা সহ যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। এছাড়াও খোয়া সাগর দিঘিতে নৌকা ভ্রমণের ব্যবস্থা করলে স্থানটি পর্যটকদের কাছে আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।

পর্যটন কেন্দ্র করতে প্রশাসনের উদ্যোগ:

২০১৫ সালে দালাল বাজার জমিদার বাড়ি ও খোয়া সাগর দিঘি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। কিন্তু স্থানীয় একটি কুচক্রী মহল উচ্চ আদালতে রিট করলে উদ্যোগটি ভেস্তে যায়। দীর্ঘদিন ধরে ওই কুচক্রী মহল বিভিন্নভাবে জমিদার বাড়ি ও দিঘিটি ভোগদখল করে আসছিল। সর্বশেষ চলতি বছরের ২৯ আগস্ট আদালত ‘জমিদার বাড়ি ও খোয়া সাগর দিঘি’ সংক্রান্ত রিটটি খারিজ করে দেন। এরপরই জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রাচীন এই দুটি নিদর্শনের সংস্কার ও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ শুরু হয়। এদিকে প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর ২০১৮ সালের ৪ জানুয়ারি দালাল বাজার জমিদার বাড়ি সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করে। সেখানে ঐতিহাসিক নিদর্শন বিবেচনা করে দালাল বাজার জমিদার বাড়িকে সংরক্ষণযোগ্য ভূমি হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

যোগাযোগ: 

লক্ষ্মীপুর জেলা শহর থেকে দালাল বাজার যেতে সিএনজি কিংবা বাসে জন প্রতি ভাড়া মাত্র ১০ টাকা। বাজার থেকে প্রায় ২৫০ গজ পূর্বে ঢাকা-রায়পুর মহাসড়কের উত্তর পাশে ‘খোয়া সাগর দিঘি’। দালাল বাজার থেকে দক্ষিণ দিকে যাওয়ার প্রধান সড়কের পাশেই পুরোনো জমিদার বাড়িটি।

 

 



জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ- কর্মসূচি পালনে বিপাকে ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সানিম
কমলনগরে বহিরাগত যুবক দিয়ে অস্ত্রোপচার, স্বামী-সন্তান নিয়ে আড্ডায় মগ্ন ডা. ফাতেমাতুজ যাহরা
বাংলাদেশের মাটিতে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না-এমপি নজরুল ইসলাম বাবু
লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী জাসদের মোশারেফ
লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে দু’জনের মনোনয়ন বাতিল
কমলনগরে ডেঙ্গু জ্বর মানে-ই হঠাৎ আতংক
লক্ষ্মীপুরে তৃণমুলে আলোচনায় যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী ভুলু
কমলনগরে বিএনপি’র অফিস ভাঙচুর
কমলনগরে প্রধান শিক্ষকের উপর হামলা, বিচার চেয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ র্যালী
জামালপুরে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে আ’লীগে মতবিনিময় সভা
জামালপুরে যুবলীগের তারুণ্যর জয়যাত্রা সমাবেশের প্রস্তুতি সভা
সরিষাবাড়ীতে জনতার সাথে মতবিনিময় করেন প্রকৌশলী মাহবুব হেলাল
ঈদের শুভেচ্ছা জানান ভাইস চেয়ারম্যান শিলা
ঈদের শুভেচ্ছায় আ’লীগ নেতা সাজু
“ডেইলি ভোরের বাণী” পরিবারে ঈদুল আজহা’র শুভেচ্ছা