তিন রানির রহস্যময় ছবি
মাত্র ১২ বছর বয়সে দেভাজাম্মানি মহীশূরের রাজপরিবারে বৌ হয়ে আসেন ১৮০৫ সালে। তার সাথে বিয়ে হয়েছিল ১২ বছর বয়সী ওয়াদিয়ারের তৃতীয় রাজ বংশধর কৃষ্ণরাজার। দক্ষিণ ভারতের নতুন রাজা হিসাবে তখন সিংহাসনে বসেছেন কিশোর কৃষ্ণরাজা।
আর তার স্ত্রী দেভাজাম্মানি নিজের অজান্তেই বিয়ের অল্প দিনের মধ্যে হয়ে উঠেছেন ছবির মডেল। গুটিবসন্তের নতুন টিকার প্রচারণার জন্য কাজে লাগানো হয়েছে তাকে। তাকে টিকার ‘মডেল’ করে একটি ছবি আঁকানোর উদ্যোগ নিয়েছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। তখন গুটিবসন্তের চিকিৎসা খুবই নতুন। মাত্র ছয় বছর আগে ব্রিটিশ ডাক্তার এডওয়ার্ড জেনার এই রোগের চিকিৎসা আবিষ্কার করেছেন।
কিন্তু তার চিকিৎসা নিয়ে ভারতে তখন তৈরি হয়েছে রীতিমত সন্দেহ আর বিরোধিতা। এর একটা বড় কারণ, তখন উনবিংশ শতাব্দীতে উপমহাদেশে ব্রিটিশরা তাদের শাসনক্ষমতা কায়েম করতে শুরু করেছে। ব্রিটিশরা তখন ভারতীয়দের গুটিবসন্তের টিকা দিতে মরীয়া। তারা বিশাল অর্থব্যয়ে ভারতে বিরাট টিকাদান কর্মসূচি নিয়েছিল। তার সাফল্য কোনভাবে বাধাগ্রস্ত হোক তা তারা চায় না।
ভারতের মত বিশাল জনসংখ্যার দেশে ‘অসংখ্য জীবন’ বাঁচানোর যুক্তি দিয়ে তারা এই ব্যয়বরাদ্দ পেয়েছিল, তাদের যুক্তি ছিল ভারতের বিশাল জনসংখ্যা ঔপনিবেশিক শক্তির জন্য ‘বড় সম্পদ’।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি রাজনীতি, ক্ষমতা আর যুক্তি খুবই সুদক্ষভাবে চতুরতার সাথে কাজে লাগিয়ে পৃথিবীর প্রথম টিকাদান কর্মসূচি চালু করতে সক্ষম হয় তাদের সবচেয়ে বড় উপনিবেশ ভারতে। এতে জড়িত হন ব্রিটিশ চিকিৎসকরা, ভারতীয় টিকাদানকারীরা, প্রকল্পে যুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির মালিক এবং ভারতে ব্রিটিশদের বন্ধু রাজারাজড়ারা।
ওয়াদিয়ার রাজারা তখন ব্রিটিশদের প্রতি খুবই কৃতজ্ঞ, কারণ তিরিশ বছরের বেশি নির্বাসিত থাকার পর ওয়াদিরাররা আবার মহীশূরের রাজ সিংহাসন ফিরে পেয়েছেন ব্রিটিশদের সহায়তায়।
রহস্যময় ছবির নারীরা
কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসের অধ্যাপক ড. নাইজেল চান্সেলার বলছেন ১৮০৫ সালের এই ছবি ভারতীয় এক রানির ব্রিটিশদের টিকাদান কর্মসূচির প্রচারণায় জড়িয়ে পড়ার রেকর্ড তো বটেই, পাশাপাশি সেসময় কীভাবে গুটিবসন্তের টিকা দেবার কাজ শুরু হয়েছিল তা জানার ক্ষেত্রে এই ছবির একটা বিশাল ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে।
তেল রংয়ে আঁকা এই ছবি যখন ২০০৭ সালে নীলামঘর সদাবিতে বিক্রি হয়, তখন ধারণা করা হয়েছিল এটা ভারতীয় তিন নতর্কীর ছবি। পরে ড. চান্সেলার তার গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণ করেন এটি ওয়াদিয়ারের রানি দেভাজাম্মানির গুটিবসন্তের টিকা প্রচারণার ছবি।
ড. চান্সেলার বলেন ছবির একদম ডানে দাঁড়িয়ে কনিষ্ঠ রানি দেভাজাম্মানি তার বাম হাতে যেখানে টিকা দেয়া হয়েছে সেদিকে ইঙ্গিত করছেন।
ছবির একদম বামে যে নারী, ড. চান্সেলারের ধারণা তিনি ছিলেন ওয়াদিয়ারের রাজার প্রথম স্ত্রী। তার নামও ছিল দেভাজাম্মানি। প্রথম স্ত্রীর নাকের নিচে এবং ঠোঁটের চারপাশে হালকা হয়ে যাওয়া চামড়ার রং থেকে বোঝা যায় তার ওপর গুটিবসন্তের প্রতিষেধক পরীক্ষা করা হয়েছিল।
তিনি বলছেন, সেসময় এই মারণব্যাধি প্রতিরোধের একটা চালু প্রথা ছিল এরকম - গুটিবসন্ত থেকে সেরে ওঠা রোগীর গুটি থেকে পুঁজ সংগ্রহ করা হতো। তারপর সেই পুঁজ শুকিয়ে, গুঁড়ো করে সেই কণাগুলো সুস্থ মানুষকে নাক দিয়ে টানতে বলা হতো। এতে সুস্থ মানুষ হালকাভাবে রোগাক্রান্ত হতো। এটা ছিল নিয়ন্ত্রিতভাবে সংক্রমণ ঘটিয়ে রোগ ঠেকানোর চিকিৎসা। প্রথম নারীর ঠোঁটের চারপাশে তারই চিহ্ণ।
তথ্যপ্রমাণ
ড. চান্সেলার তার এই তত্ত্বের সমর্থনে ২০০১ সালে প্রথম প্রকাশিত একটি নিবন্ধেরও উল্লেখ করেছেন, যাতে প্রতিষেধকের এই প্রথার উল্লেখ আছে।
এছাড়াও আঁকা এই ছবির তারিখের সাথে ওয়াদিয়ারের রাজার বিয়ের তারিখের সামঞ্জস্য রয়েছে। রাজপরিবারের দলিলেও নথিভুক্ত আছে, দেভাজাম্মানির টিকা নেবার ওই ছবি ভারতীয়দের কতটা গভীরভাবে উদ্বুদ্ধ করেছিল গুটিবসন্তের টিকা নিতে। ১৮০৬ সালের জুলাই থেকে মানুষ টিকা নিতে এগিয়ে আসে।
মহীশূরের ইতিহাস বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ড. চান্সেলার বলছেন, ছবিতে রানিদের যেধরনের পোশাক আশাক, ও গহনাগাটি দেখা যাচ্ছে তা সেসময় ওয়াদিয়ারের রানিদেরই বিশেষত্ব ছিল।
আর এই ছবির শিল্পী টমাস হিকি যদিও আগেও ওয়াদিয়ারের রাজপরিবারের সদস্যদের ছবি এঁকেছেন, কিন্তু সেসময় রাজপরিবারের নারী সদস্যরা সচরাচর ছবির জন্য বিদেশীদের সামনে পোজ দিতেন না। তাই এই ছবি যে বিশেষ কারণে আঁকানো হয়েছিল তা স্পষ্ট।
ওয়াদিয়ারের রাজপরিবার ব্রিটিশদের প্রতি তখন গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। ব্রিটিশরা তাদের বড় শত্রু মহীশূরের শাসক টিপু সুলতানকে পরাজিত করে সিংহাসনে বসিয়েছিল ওয়াদিয়ারের রাজাকে। রাজপরিবার তাই তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে তখন একপায়ে খাড়া ছিল।
তখন ভারতে যেসব ব্রিটিশ থাকতেন, তাদের গুটিবসন্তের সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে ব্রিটিশরা সেখানে টিকাদান কর্মসূচি চালু করতে মরীয়া হয়ে উঠেছিল বলে লিখেছেন ঐতিহাসিক মাইকেল বেনেট তার বই ওয়ার এগেনস্ট স্মলপক্সে।
ভারতে তখন গুটিবসন্তের সংক্রমণ খুবই বেশি ছিল এবং মৃত্যুহারও ছিল খুব বেশি। রোগের উপসর্গ ছিল জ্বর, গা ব্যথা এবং মুখ ও শরীরে গুটিগুলো যখন ফেটে যেতো তখন অসম্ভব যন্ত্রণা। যারা বেঁচে যেত তাদের সারা মুখ ও শরীরে থেকে যেত ভয়ানক ক্ষতচিহ্ণ- অনেকের চেহারা ক্ষতে এতটাই বদলে যেত যে তার মানসিক যন্ত্রণাও ছিল প্রবল।
কয়েক শতাব্দী ধরে এই রোগ থেকে বাঁচার জন্য একটাই পথ ব্যবহৃত হতো- রোগীর পুঁজ শুকিয়ে, পাউডার বানিয়ে তা নাক দিয়ে টেনে অল্প মাত্রায় রোগজীবাণু শরীরে ঢোকানো। এটা করা হতো হিন্দু পূজার অংশ হিসাবে। হিন্দুরা বসন্ত রোগ সংহারের দেবী হিসাবে শীতলা দেবীর পূজা করতো। শীতলাকে তুষ্ট করে দেবীর প্রসাদ প্রার্থনা করতো এবং ব্রাহ্মণ পুরোহিতরা ওই রোগ জীবাণু সুস্থ মানুষের নাক দিয়ে ঢোকানোর কাজ করতেন।
গরুর বসন্ত দিয়ে টিকা
গুটিবসন্তের প্রতিষেধক টিকা তৈরি হয়েছিল গরুর বসন্ত রোগের জীবাণু দিয়ে। মানুষ পশুর শরীরের রোগজীবাণু নিজের শরীরে নিতে চায়নি। আর যেসব ব্রাহ্মণ বসন্তের রোগজীবাণু সুস্থ মানুষের শরীরের ঢোকাতো তারাও ড. জেনারের টিকার বিরোধী ছিলেন কারণ তারা বুঝেছিলেন এতে তাদের রুজিরোজগার হুমকির মুখে পড়বে।
উদ্বেগের সবচেয়ে বড় জায়গাটা ছিল গরুর দেহের রোগজীবাণু মানুষের শরীরে ঢোকানো, বলছেন অধ্যাপক বেনেট।
আরেকটা বড় সমস্যা ছিল টিকাদান পদ্ধতি নিয়ে। এই টিকা সবচেয়ে কার্যকরভাবে দেবার পদ্ধতি ছিল একজনের শরীর থেকে জীবাণু নিয়ে আরেকজনের শরীরে ঢোকানো। অর্থাৎ একজনের বাহুতে প্রথম এই টিকা দেয়া হবে। এর এক সপ্তাহ পর যখন সেখানে গরুর গুটিবসন্তে পুঁজ তৈরি হবে, তখন ডাক্তার ওই গুটি কেটে পুঁজ সংগ্রহ করে আরেকজনের শরীরে সেটা স্থানান্তর করবেন। এটাও মানুষের জন্য গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছিল।
এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ, ও জাতপাতের নারী পুরুষ নির্বিশেষে একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে জীবাণু ঢোকানোর ব্যাপারটা হিন্দুরা মেনে নিতে পারেনি। তারা মনে করেছিল এতে হিন্দুদের পবিত্রতা নষ্ট হবে। তাই ওয়াদিয়ারের রানি যখন এই টিকা নিলেন, তখন হিন্দু সম্প্রদায় আশ্বস্ত হয়েছিল এই ভেবে যে এতে হিন্দু রাজপরিবারের রক্ত যদি কলুষিত না হয়, আমারও তাহলে ভয়ের কারণ থাকবে না।
ধারণা করা হয়, ওয়াদিয়ারের রানিকে প্রথম যে গুটিবসন্তের টিকা দেয়া হয়েছিল তা শুরু হয়েছিল ভারতে কর্মরত এক ব্রিটিশ নারীর তিন বছরের কন্যা অ্যানা ডাস্টহল-এর শরীর থেকে নেয়া গুটিবসন্তের জীবাণু দিয়ে।
১৮০০ সালের বসন্তকালে ব্রিটেন থেকে জাহাজে করে গুটিবসন্তের পুঁজ প্রথম পাঠানো হয় ভারতে। জাহাজে ওই জীবাণু সক্রিয় রাখতে পুরো যাত্রাপথে একজনের বাহু থেকে আরেকজনের বাহুতে তা প্রবেশ করানো হয়।
কিন্তু ভারতে পৌঁছনর পর ওই মানব চেইন-এ ছেদ পড়ে কারণ ভারতে তখন কেউ টিকা নিতে রাজি হয়নি।
এরপর ভিন্ন উপায়ে টিকা পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। কাঁচের আধারে সক্রিয় জীবাণু শুষ্ক অবস্থায় পাঠানো হয় ভিয়েনা থেকে বাগদাদে ১৮০২ সালের মার্চ মাসে। এরপর ওই জীবাণু টিকা হিসাবে দেয়া হয় বাগদাদে আর্মেনীয় এক শিশুকে। এরপর ওই শিশুর বাহুতে পেকে ওঠা গুটি থেকে পুঁজ নিয়ে যাওয়া হয় ইরাকের বাসরায়। সেখান থেকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একজন চিকিৎসক গুটি বসন্তের পুঁজ পাঠান ভারতের বম্বেতে (বর্তমান মুম্বাই)।
১৮০২ সালের ১৪ই জুন ভারতে গুটিবসন্তের টিকা প্রথম সফলভাবে দেয়া হয় অ্যানা ডাস্টহল নামে এক শিশুকে। তার সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না। যে ডাক্তার তাকে টিকা দিয়েছিলেন তার নোটবইতে শুধু লেখা ছিল অ্যানা ডাস্টহল “খুবই ঠাণ্ডা মেজাজের” মেয়ে। তার বাবা ছিলেন ইউরোপীয়ান, কিন্তু মা কোন্ দেশের তা জানা যায় না।
অধ্যাপক বেনেট বলছেন, আমরা জানি, ভারতীয় উপমহাদেশে গুটিবসন্তের যত টিকা দেয়া হয়েছে তার সবগুলোর উৎস ছিল অ্যানার শরীর।
অ্যানাকে টিকা দেবার পরের সপ্তাহে, তার পেকে ওঠা গুটির পুঁজ থেকে বম্বের আরও পাঁচজন শিশুকে টিকা দেয়া হয়। সেখান থেকে ওই টিকার জীবাণু বাহু থেকে বাহুতে যায় ভারতের বিভিন্ন শহরে যেখানে ব্রিটিশরা কর্মরত ছিলেন সেখানে। যেমন হায়দরাবাদ, কোচিন, তেল্লিচেরি, চিঙ্গলপুত, মাদ্রাজ এবং মহীশূরের রাজপরিবারে।
টিকাদান চেইনে কারা ছিলেন, অর্থাৎ কার বাহু থেকে কার বাহুতে বসন্তের টিকা গিয়ে পৌঁছেছে তার রেকর্ড কোথাও রাখা নেই। তবে টিকার জীবাণু বাঁচিয়ে রাখতে মাদ্রাজে ‘মিশ্র জাতের’ তিনজন শিশুর শরীরে জীবাণু ঢোকানোর বিষয় এবং কলকাতায় এই টিকা নিয়ে যাবার সময় তা জীবিত রাখতে টিকার বাহক হিসেবে মালয় এক কিশোরকে টিকা দেবার বিষয় নথিভুক্ত রয়েছে।
কিশোরী রানি দেভাজাম্মানিকে যখন এই টিকা দেয়া হয় তখন অন্য কারো শরীর থেকে নেয়া পুঁজ তার বাহুতে ঢোকানো হয়েছিল, না কী শুকানো অবস্থায় রাখা জীবাণু তাকে ইনজেক্ট করা হয়েছিল তা জানা যায় না। তবে ড. চান্সেলার বলছেন, মহীশূরের রাজপরিবারে একমাত্র তাকেই টিকা দেয়া হয়েছিল বলে জানা যায়।
মহীশূরের রাজার মাতামহ লাকশ্মী আম্মানির স্বামী গুটিবসন্তে মারা গিয়েছিলেন। কেম্ব্রিজের ইতিহাসবিদ ড. চান্সেলার মনে করেন টমাস হিকির আঁকা ছবিতে যে তিনজন নারী আছেন তাতে মাঝেরজন হলেন লাকশ্মী আম্মানি।
তার মতে, ওই ছবিতে রাজ মাতামহের উপস্থিতিও তাৎপর্যপূর্ণ এই কারণে যে, গুটিবসন্তের টিকা যে নিরাপদ এবং তা নিলে ভয়ের কারণ নেই, জনসাধারণকে সেই বার্তা দিতেই ছবিতে ওয়াদিয়ার রাজপরিবারের মাতামহকেও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি হাজির করেছিল সফল প্রচারের কৌশল হিসাবে।
এই ছবির কাজ সম্ভব হয়েছিল রাজপরিবারের শীর্ষপর্যায়ের এই নারীর উপস্থিতির কারণে। রাজা তখন নাবালক, তার আপত্তির কোন সুযোগ ছিল না, আর দুই রানিরও মাতামহের নির্দেশ অমান্য করার প্রশ্নই ছিল না।
অধ্যাপক বেনেট বলছেন ভারতের মানুষ ক্রমশ বুঝতে পেরেছিল টিকার উপকারিতা। এবং ঐ ছবির মাধ্যমে প্রচার চালিয়ে ১৮০৭ সাল নাগাদ ভারতে দশ লাখ মানুষকে গুটিবসন্তের টিকা দেয়া সম্ভব হয়েছিল।
আর কালের চক্রে একসময় হারিয়ে যাওয়া এই ছবি উদ্ধারের পর এই তিন রহস্যময়ী নারীকে এবং পৃথিবীতে প্রথম প্রতিষেধক টিকাদানের ইতিহাসে এই ছবির মূল্য যে কতটা তা উদঘাটন করেছিলেন ঐতিহাসিক ড. নাইজেল চান্সেলার।
সফল টিকাদানের কারণে বিশ্বে গুটিবসন্ত নির্মূল সম্ভব হয়েছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।