লক্ষ্মীপুরে গৃহে পালিত হচ্ছে বণ্য প্রাণী শিয়াল
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের চর কাদিরা ইউনিয়নে চর পাগলা গ্রামে গৃহ পালিত পশুদের সঙ্গে বণ্য প্রাণী শিয়াল পালিত হচ্ছে।
সভ্যতার শুরুর দিকে কুকুরের পাশাপাশি শিয়ালও গৃহপালিত পশু হিসেবে পালতো মানুষ। কিন্তু সভ্যতার বিবর্তনে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে সব। যান্ত্রিক সভ্যতা এ যুগে প্রায় এলাকা থেকে রীতিমতো বিলুপ্তির পথে মাংসাশী এ প্রাণীটি।
তবে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর মনে করিয়ে দিচ্ছে সেই যুগের কথা। সেখানে গৃহে পালিত হচ্ছে শিয়াল। খাচ্ছে ভাত, মাছ, মাংসসহ সব স্বাভাবিক খাবার। চা-বিস্কুটও খায়। নেই শিয়ালের চিরায়ত শিকারের অভ্যাস। দেখায় না কোন ধরণের ভয়ভীতি।
বাড়ির পোষা হাস-মুরগি ও কুকুরের সঙ্গেও বেশ বন্ধুত্ব তার। বাড়ির উঠানে শিশুদের সঙ্গে খেলে ফুটবলও। প্রতিদিনই কৌতূহলী লোকজন গৃহে পালিত শিয়াল দেখতে ভিড় জমায়।
উপজেলার চর কাদিরা ইউনিয়নের চর পাগলা গ্রামের কৃষক মো. ইসমাঈল জানান, ছয় মাস আগে বাড়ির পাশের বাগানের গর্তে চারদিন বয়সের একটি শিয়াল শাবক দেখতে পান। কুড়িয়ে পাওয়া শিয়ালের বাচ্চাটি বাড়ি নিয়ে আসেন। বাঁচিয়ে রাখতে তোতল ভরে গরুর দুধ খাওয়াতে শুরু করেন। আস্তে আস্তে ভাত, মাছ, মাংস খাওয়ার অভ্যাস করেন।
কৃষক ইসমাঈল বলেন, আমার পরিবারের সদস্যের মতো করেই যত্ন করে বড় করেছি শিয়াল ছানাটিকে। বাড়ির লোকজনসহ প্রতিবেশীরাও তাকে খেতে দেয়। বাড়ির সামনের দোকানে গেলেও দোকানিরা চা-বিস্কুট খাওয়ায়।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আখতারুজ্জামান বলেন, শিয়ালের কামড়ে কুকুরে মতো জলাতঙ্ক রোগ হতে পারে। যেহেতু শিয়াল বন্যপ্রাণী সে কারণে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করাটাই উত্তম। কুড়িয়ে পাওয়া শিয়াল ছানাকে যত্ন করে বাঁচিয়ে রেখে বড় করা সত্যিই মানবিক। বন্যপ্রাণীর প্রতি কৃষকের এমন ভালোবাসা প্রশংসনীয়।
ভি-বানী/ ডেস্ক