প্রেমিক অসৎ চরিত্রের কি না বুঝবেন যে ৪ উপায়ে
অনলাইন ডেস্ক-
বর্তমান যুগে প্রেমিকের চরিত্র কেমন, প্রত্যেক প্রেমিকার মনেই প্রশ্ন থাকে। বেশিরভাগ সময়ে দেখা যায় অনেক মেয়েরা সর্বদাই ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকেন যে, তার প্রেমিক অসচ্চরিত্রের কিনা। এমন ভয় নির্মূল করার কিন্তু খুব সাধারণ কয়েকটি উপায় রয়েছে। যেসব উপায়ে খুব সহজে জানতে পারবেন আপনার প্রেমিক অসৎ চরিত্রের কি না, তার চরিত্র কেমন? একটু মাথা দিয়ে ভাবুন, তাহলে হয়তো আপনিও সম্পর্ক সম্পর্কে সচেতন হতে পারবেন।
বর্তমান সমাজে ভালো ছেলে পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। তবে ভালো ছেলে যে একেবারে নেই তা নয়। কিন্তু কয়জন মেয়ের ভাগ্যে সেই ছেলে জুটেছে, তা গুণে বলে দেওয়া যায়।
আসুন জেনে নেই প্রেমিকের চরিত্র সম্পর্কে জানার ৪ উপায় -
১। কীভাবে নিজেকে উপস্থাপন করেছিল : যখন আপনার সঙ্গে তার পরিচয় হয়, সে কি নিজেকে জাহির করেছিল। সোজা কথায় নিজের গাড়ি, টাকা, সম্পত্তির কথা বলেছিল? আর তার সাজপোশাক? সেটা কেমন ছিল? খুব জমকালো জামা বা অ্যাকসেসারিজ পরেছিল? আর সেটা নিয়ে যথেষ্ট দেখনদারি চালাচ্ছিল? তাহলে কিন্তু সতর্ক হন। এই ধরনের পুরুষরা সাধারণত মেয়েদের পটাবার তালে থাকে। নিজেদের “প্রাইস ট্যাগ” দিয়ে ইম্প্রেশন জমাতে চায়।
২। কথা ও কাজের মধ্যে পার্থক্য: যেভাবে সে আপনার কাছে জাহির করেছে, ব্যক্তিগত জীবনে কী সে তাই? নাকি তার কথা আর কাজের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে? যেমন ধরুন, সে ক্রমাগত বলে যাচ্ছে আপনাকে সে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসে। অথচ নিজের পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে আলাপের কোনও ইচ্ছা প্রকাশ করছে না, তাহলে বুঝবেন তার ভেতর সমস্যা আছে। আপনাকে হয়তো সে চিরকালের জন্য কাছে রাখতে চায় না। ইচ্ছা ফুরোলেই সরে যাবে।
৩। দেখা করার পর ফোন করে না: দেখা করল, কথা বলল, আপনারা সময় কাটালেন, সবই হল। মানে ডেট করা যাকে বলে, তার পুরোটাই হল। কিন্তু বাড়ি ফেরার পর সে বেমালুম আপনাকে ভুলে গেল। সব মেয়েই চায় কেউ তাকে একটু কেয়ার করুক। কিন্তু এক্ষেত্রে হয়তো এটা হল না। বাড়ি পৌঁছানোর পর সে আর আপনার সঙ্গে যোগাযোগই করল না। এমন ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় হয় সেই পুরুষ আপনাকে নেহাত খেলাচ্ছলে নিচ্ছে। শুধু মজার জন্য হয়তো ব্যবহার করছে আপনাকে।
৪। অতিরিক্ত সুখ্যাতি করে: তোমার সব ভালো। এটা ভালো, সেটা ভালো। শুধু ভালো আর ভালো। এমনই কি ক্রমাগত বলে সে? আপনার মধ্যে কোনও ভুল বা খুঁত তাঁর নজরে পড়ে না? এটা কিন্তু ঠিক নয়। প্রত্যেক মানুষই খারাপ-ভালো মিশিয়ে তৈরি। সে যদি আপনার মধ্যে কোনও খারাপ দিক না দেখতে পায়, তাহলে আগেভাগেই সচেতন হয়ে যাওয়া ভালো।