ব্ল্যাকহেডস সমস্যার সমাধান
ফিচার ডেস্ক-
মারাত্মক বায়ুদূষণের কবলে রয়েছে বাংলাদেশ। আধুনিক সময়ে ক্রমশ বদলাচ্ছে সৌন্দর্যের সংজ্ঞা। তেলে কাজলে সুন্দর হওয়ার দিন আর নেই। আজকাল প্রেসেন্টেবল হওয়াই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আর সেখানেই বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ব্ল্যাকহেডস। বাইরে বের হলেই মুখে ধুলোবালির আস্তরণ পড়ে ও ব্ল্যাকহেডস তৈরি হয়।
নাকে ও মুখে ব্ল্যাকহেডস নিয়ে অনেকের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। পার্লারে গিয়ে ফেসিয়াল, ক্লিনিং, স্ক্র্যাবিং অনেক কিছুই হয়তো করে থাকেন আপনি, তবুও এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলছে না। অন্য ত্বকের চেয়ে তৈলাক্ত ত্বকে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এখানে অ্যাকনে, পিম্পল, হোয়াইটহেড ও ব্ল্যাকহেডের সমস্যা থাকে।
জেনে নিন কীভাবে খুব সহজে ব্ল্যাকহেডস করবেন-
প্রথমে একটা কলা ভালো করে চটকে (পেস্ট) নিতে হবে। এরপর এর মধ্যে ২ চামচ ওটসের গুঁড়ো মিশিয়ে তার সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে ভালো করে মিশ্রণটি তৈরি করে নিন। ওটস আমাদের মুখের মৃত কোষ দূর করতে এবং মুখের ময়লা দূর করতে সাহায্য করে। মিশ্রণটি তৈরি হয়ে গেলে ভালো করে মুখে মাখুন। মিনিট দশেক ধরে হালকা হাতে স্ক্র্যাবিং করুন। স্ক্র্যাবিং হয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এরপর ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। ব্ল্যাকহেডসের এই সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাবেন।
ত্বকের মরা চামড়া যেগুলো ত্বকের ছিদ্রপথ বন্ধ করে দিচ্ছে সে গুলা দূর করার জন্য ডিপ ফেস ক্লিনার ব্যবহার করুন। এরপর গরম পানির ভাপ দিয়ে ১০-১৫ মিনিট স্ট্রিম করুন। এতে ব্ল্যাকহেডস নরম হয়ে যাবে। পরে ফেসওয়াস দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে নিয়মিত করলে ফল পাবেন।
২ চামচ আমণ্ড গুঁড়ো আর ১ চামচ গোলাপজল এর পেস্ট তৈরি করুন। এবার এই পেস্ট সম্পূর্ণ মুখে লাগিয়ে সার্কুলার মোশনে ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করুন ২-৩ মিনিট। এর পর ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ব্ল্যাকহেডস দূর করার সাথে সাথে এটি স্কিনে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে।
একটি ডিমের সাদা অংশ ও এক চা চামচ মধু ফেটিয়ে নিন। ত্বকে লাগিয়ে শুকনো হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। সাদা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ডিমের সাদা অংশে যে অ্যালবুমিন থাকে, তা ত্বকের ছিদ্রগুলিকে টাইট রাখে, ফলে ব্ল্যাকহেডস হয় না। বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ দেয়। সপ্তাহে দুই একবার ব্যবহার করা যায়।
আপনার স্কিনের ধরন অনুযায়ী উপরের যেকোনো পদ্ধতি বেছে নিন। নিয়মিত করলে ব্লাকহেডস থেকে মুক্তি পাওয়া খুব কঠিন কিছু নয়।
টিপস: বালিশের কভার প্রতি সপ্তাহে পালটে ফেলুন। আপনার ব্যবহারের চিরুনি, তোয়ালে সবসময় পরিষ্কার রাখুন। ব্ল্যাকহেডস, পিম্পল, খুশকি এসব কিছুর প্রকোপ থেকে কিছুটা মুক্তি পাবেন।