মিয়া খলিফার মহানুভবতা
বিনোদন ডেস্ক-
নীল জগতের জনপ্রিয় নাম মিয়া খলিফা। গোপন বিনোদনে যার অভিনয় প্রশংসিত। তবে এই জগতে মাত্র তিনমাস কাজ করেছিলেন তিনি। পরে এখান থেকে বিদায় নিয়ে অন্য পেশায় মনোযোগী হয়েছেন। একইসঙ্গে পুরোনো বয়ফ্রেন্ডকেই বিয়ে করছেন সেটাও তিনি নিজেই জানিয়েছেন।
সম্প্রতি ভয়াবহ বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত তার জন্মভূমি লেবানন। যার ফলে নীল জগতে ব্যবহারের জন্য পাওয়া তার সেই ‘কুখ্যাত’ চশমা নিলামে তুলেছেন প্রাক্তন এই নীল তারকা। অর্থ সংগ্রহ করতেই নিজের চশমা নিলামে তুলেছেন তিনি।
যখন পেশাদার অভিনেত্রী ছিলেন তখন তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল নিজের দেশ লেবাননের কট্টরপন্থীরা। ফলে দেশটিতে প্রবেশাধিকার হারান তিনি। তবুও মাতৃভূমির সংকটে তিনিই এগিয়ে এলেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে। নিজ দেশের জন্য অর্থসংগ্রহের মিশনে নেমেছেন মিয়া খলিফা।
এ প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিয়া খলিফা জানান, লেবাননের পাশে দাঁড়াতে তার বিখ্যাত চশমা নিলামে তুলছেন তিনি। সেটি বিক্রি করে যে অর্থ পাবেন, তা বিস্ফোরণ বিধ্বস্ত দেশের রেডক্রসের ত্রাণ তহবিলে দান করবেন।
গ্লোবাল নিউজ তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মিয়া খলিফা তার সেই চশমাটি নিলামে তুলেছেন ই-বে নামে একটি পেজে। চশমাটির মূল্য এখন পর্যন্ত এক লাখ ডলার উঠেছে। এই নিলাম চালু থাকবে শনিবার (১৫ আগস্ট) বিকেল পর্যন্ত।
প্রায় ১১টি নীল ছবিতে দেখা গিয়েছিল মিয়া খলিফাকে। যার মধ্যে হিজাব পরে একটি সিনেমা ঝড় তোলে গোপন বিনোদনে। আর সেই ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পরই মিয়াকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় কট্টরপন্থীরা। এরপর লেবাননে প্রবেশাধিকার হারান তিনি।
সে সময় মিয়া খলিফা জানিয়েছিলেন, নীল জগতে কাজ করে তিনি অনুতপ্ত। তার পরিবারও সেই সময় তাকে সাহায্য করেনি। তিনি এখন সেই ইন্ডাস্ট্রি থেকে ফিরে এসেছেন।
গত ৪ আগস্ট লেবাননের বৈরুত বন্দরের একটি গুদামে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। এতে অন্তত ২২০ জন নিহত হন। আহত হন ছয় হাজারের বেশি মানুষ।
বলা হচ্ছে, ওই গুদামে দুই হাজার ৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মজুদ ছিল, যা সার ও বোমা তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়।