শুক্রবার, ১৪ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » রাজশাহী | সারাদেশ » মাত্র ৩০০ টাকায় শিশুকে নদীতে পেলে হত্যার অভিযোগ
মাত্র ৩০০ টাকায় শিশুকে নদীতে পেলে হত্যার অভিযোগ
রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীতে এক চাচির বিরুদ্ধে ‘মাত্র তিনশত টাকায় লোক ভাড়া করে’ শিশু আলিফকে নদীতে ছুড়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত চাচি পারভীন বেগম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাজশাহীর অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে জবানবন্দি দেন অভিযুক্ত পারভীন। নিহত আজমাইন সারোয়ার আলিফ রাজশাহীর চারঘাটের চকশিমুলিয়া গ্রামের মো. তারেকের ছেলে।
রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত এসপি ইফতে খায়ের আলম জানান, গত ৮ অগাস্ট দুপুরে তারেকের বাড়িতে গিয়ে আফিলকে কোলে নেন পারভীন বেগম। এরপর থেকে শিশু আলিফ নিখোঁজ হন। শিশু নিখোঁজের ব্যাপারে পারভীনকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি শিশু সম্পর্কে অবগত নন বলে জানান
পরদিন শিশুটির মা চাম্পা বেগম বাদী হয়ে চারঘাট থানায় চাচি পারভীনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় শত্রুতার জেরে পারভীন তার ভাতিজা আলিফকে অপহরণ করে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়।
ইফতে খায়ের আলম জানান, থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ পারভীনকে গ্রেফতার করে। ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় চারঘাট থানার কালুহাটি পূর্বপাড়া গ্রাম সংলগ্ন বড়াল নদীতে ভাসমান অবস্থায় আলিফের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের সময় তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে আলিফের গলায় থাকা রুপার চেইন ও কোমরে বিছা মেলেনি।
তিনি আরো জানান, ১০ অগাস্ট পুলিশ পারভীনকে আদালতের নির্দেশে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়। জিজ্ঞাসাবাদে আলিফকে হত্যার কথা স্বীকার করেন পারভীন।
পারভীনের স্বীকারোক্তির বরাতে ইফতেখায়ের আলম জানান, ঘটনার আগের দিন একই গ্রামের আজাদ হোসেনের সঙ্গে আলিফকে অপহরণ করার পরিকল্পনা করেন পারভীন। পরিকল্পনা অনুযায়ী পারভীন আলিফকে নিয়ে আজাদের কাছে দেন। আজাদ শিশুটিকে বড়াল নদীতে ফেলে দিয়ে আসেন। এছাড়া আলিফের কোমরের বিছা ও গলার চেইন এনে পারভীনকে ফেরত দেন। পরে আজাদ ৩০০ টাকা পেয়ে চলে যান।
ইফতে খায়ের জানান, হত্যার কথা স্বীকারের পর পারভীন নিজেই বাড়ির আঙিনার লিচু গাছের নিচে থাকা ময়লার স্তূপ থেকে বিছা ও রুপার চেইন বের করেন। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী আজাদ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
ভি-বানী/ডেস্ক