লক্ষ্মীপুরে চরাঞ্চলসহ নদীর তীরবর্তী উপকূল পানিতে প্লাবিত
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রামগতি- কমলনগর উপজেলায় মেঘনা নদীর পানিতে নিম্ম চরাঞ্চলসহ নদীর তীরবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রাম অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। স্বাভাবিক পানির চেয়ে ৫-৭ ফুট জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বসতঘর বাড়ি, ফসলি জমি, হাট বাজার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
এতে রামগতি উপজেলার বয়ারচর, চর লক্ষ্মী, বড়খেরী, চর রমিজ, রঘুনাথপুর, চর মেহার, চর আবদুল্যা, তেলিরচর, চর গোসাই, চর আলগী, উত্তর সেবাগ্রাম, চর আলেকজান্ডার, সবুজগ্রাম, সুজনগ্রাম, চর মটুয়াসহ বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। অতিরিক্ত জলোচ্ছ্বাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মৎস্য চাষের পুকুর ভেসে গেছে।
এদিকে কমলনগর উপজেলার চর ফলকন, চর কালকিনি, পাটোয়ারীহাট, চর লরেন্স, চর মার্টিন, সাহেবেরহাট ইউনিয়নের প্রায় এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। ফসলি জমির ফসল ও মৎস্য চাষের পুকুর থেকে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সরেজমিনে স্থানীয়রা জানান , দীর্ঘ তিন যুগের বেশি সময় ধরে মেঘনা নদীর ভাঙনে কবলিত কমলনগর উপজেলাটি।
হঠাৎ দুপুরের পর থেকে উপজেলা চারটি ইউনিয়নের অতিরিক্ত পানি বেড়ে যায়। এতে ফসলি জমি, হাট বাজার পানিতে তলিয়ে যায়। পানি বাড়তেই প্রায় শ’খানেক মাছ চাষের পুকুর পানিতে তলিয়ে যায়।
কমলনগরে ভুক্তভোগী আকতার মাহমুদ জানান, প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়ায় মেঘনা নদীতে উত্তাল বেড়ে যাওয়ায় উজানের পানিতে তলিয়ে গেছে উপজেলার মতির হাট, সাহেবের হাট, চর ফলকন, পাটাওয়ারী হাট ইউনিয়নের সব বাড়িঘর। ভেসে গেছে সমস্ত মাছের প্রজেক্ট।রান্নাঘরে হাটু পরিমান পানি ঢুকে যাওয়ায় দুপুর থেকে খাওয়া দাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দেয় । হাজারো মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে।
তিনি আরও জানান, দীর্ঘ তিন যুগের বেশি সময় মেঘনা নদীর ভাঙনে কবলিত এ জনপথ। নদীর পানি ধরে রাখতে প্রয়োজনীয় বেড়ি বাঁধ নেই। যার কারণে হঠাৎ করে পানিতে তলিয়ে যায় এ জনপথ। রাতে পানি বাড়ার আশংকায় রয়েছে ভুক্তভোগী মানুষ।
রামগতির উত্তর সেবাগ্রামের মোঃ আবদুল্যার বসতঘর জোয়ারের প্রভাবে পড়ে যায় ওই সময় ঘরের চাপায় পড়ে তার স্ত্রী ও ছেলে আরমান আহত হয়। এছাড়াও চরলক্ষ্মী গ্রামের মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত বেশ কিছু বসত ঘর এবং রক্ষা বাঁধের বেশ কিছু স্থান ধ্বংস হয়েছে।
খোলাডাক/ডেস্ক