লক্ষ্মীপুরে আ’লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২৫
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে।
রায়পুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন হাওলাদার ও উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহবায়ক রুহুল আমিন খলিফার অনুসারিদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে কয়েকবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে।
জানা গেছে, শুক্রবার (১০ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টা থেকে শুরু হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের খাসেরহাটে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ফের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
এদিকে শনিবার (১১ জুলাই) বিকেল পর্যন্ত এই ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশও কাউকে আটক করতে পারেনি। তবে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতে উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের খাসেরহাটে আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে যুবলীগ নেতা রাশেদ খলিফা ও তার অনুসারীরা বসে ছিল। রাশেদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন খলিফার অনুসারি। হঠাৎ কে বা কারা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে তাদের ওপর ইট ছুঁড়ে মারে। রাশেদরা ধারণা করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলতাফ হোসেন হাওলাদারের অনুসারিরা ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এনিয়ে পাশেই আলতাফ হোসেনের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে সামনে গিয়ে দু’পক্ষ বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এসময় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে প্লাস্টিকের চেয়ারসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। আলতাফ হোসেনের অনুসারী মোখলেছুর রহমান পান্নু দলবল নিয়ে রুহুল আমিনের বাড়িতে হামলা চালায়। ওইসময় রুহুল আমিনের বাসার জানালার কাঁচ ও টিনের ঘর ভাঙচুর করা হয়। এসব হামলায় উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়। ঘটনার সময় আলতাফ হোসেনের ব্যবহৃত গাড়ির সামনের কাঁচ ভাঙচুর করা হয়েছে।
আহতরা হলেন আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন ও তার অনুসারি মুজাহিদ, সিদ্দিক খলিফা, রাশেদ খলিফা, আবু সুফিয়ান, জুবায়ের, সোহেল, সুমন , জুলহাস এবং আলতাফ হোসেনের অনুসারি মোখলেছুর রহমান পান্নু, শাহ আলম হাওলাদার, মাইন উদ্দিন, কামাল মাঝি, নাজমুল কবির, সোহাগ দেওয়ান, আক্তার হোসেন নান্টুসহ অন্তত ২৫ জন। এদেরমধ্যে রুহুল আমিন ও মুজাহিদকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছে।
মারামারির কারণ জানতে চাইলে আলতাফ হোসেন হাওলাদার বলেন, আমি এ ব্যাপারে কোন কিছুই বলতে চাই না। আমার কোন মন্তব্য নেই।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু জড়িতদের কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া এখনো পর্যন্ত কেউই থানায় কোন অভিযোগ করেনি। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।