মানুষের জীবনে প্রেম আসে কেন?
প্রেম নিয়ে নানা জনের নানা মত। তবে প্রেমে পড়ার পিছনে রয়েছে অনেক মনস্তাত্ত্বিক ও বৈজ্ঞানিক কারণও। মনোবিদ ও ব্যবহার বিশেষজ্ঞদের মতে, হরমোনের নানা কারণ, চারপাশের অবস্থান, পরিস্থিতি এসব কারো সাথে মতের মিলের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক কী কী অদ্ভুত বিষয়কে প্রেমে পড়ার কারণ হিসেবে দাবি করছেন গবেষকরা জেনে নিন।
দুজনকে ঘিরে তৈরি হওয়া কোনো ভিত্তিহীন প্রচার অদ্ভুত প্রভাব ফেলে। দুজনকে নিয়ে তৈরি হওয়া কোনো গুজব তাদের সম্পর্কে বেঁধে ফেলে।
দুজনকে নিয়ে ক্রমাগত চর্চা- মানুষের হাইপোথ্যালামাসকে প্রভাবিত করে। অবিরাম চর্চা চলতে থাকলে শরীরে যে হরমোনঘটিত আবেগ তৈরি হয় তাই ভালোবাসার।
কোনো পরিস্থিতিতে একইসঙ্গে থাকতে শুরু করা বা জীবনের একই পরিস্থিতির মোকাবেলা করাও একজনকে অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল করে তোলে।
জৈবিক যেসব কারণে কোনো মানুষের প্রতি আকর্ষণ তীব্র হতে পারে, তার অন্যতম চেহারা। সাধারণত, রূপের চেয়েও শরীরের গঠন, উচ্চতা, পেশীবহুল চেহারা এ সব মানুষের হাইপোথ্যালামাসে ভাল লাগার বার্তা দেয়। তখনই ডোপামিন হরমোন মস্তিষ্কে প্রেমের বার্তা পৌঁছায়।
কোনো মানুষের সঙ্গে তীব্র সমস্যা লেগেই থাকে এদের প্রেমে পড়া অস্বাভাবিক নয় মোটেই। কখনো কখনো ডোপামিনকে উত্তেজিত হয় এবং ঝগড়ার মানুষটির প্রতিও মায়া কাজ করে।
তবে প্রেমে পড়ার বেশির ভাগ কাজটাই হরমোন করে থাকে এমনটা নয় অনেক সময় মনে ডোপামিন ক্ষরণ হয় না। তাই মতে মেলে এমন মানুষকেই সে বেছে নিতে চায়।