মাদারীপুরে প্রাথমিক শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে ধর্ষণ
মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে ৭দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতিতা মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার কালাই সরদারের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী।
এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে উপজেলার মহরউদ্দির চর গ্রামের নির্যাতিতার মা বাদি হয়ে ৫ জনকে আসামি করে গৌরনদী থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রধান আসামি বরিশালের উজিরপুর উপজেলা সদরের রাজমিস্ত্রি আব্দুর রহমান ওরফে পলাশ হাওলাদার, তার ভাই মিজানুর হাওলাদার ও ভগ্নিপতি মোবারক শিকদারকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার দুপুরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গৌরনদী থানার এসআই আরিফুল ইসলাম মামলার বলেন, গত ২ রমজান মোবাইল ফোনে মিস কলের মাধ্যমে রাজমিস্ত্রি পলাশ হাওলাদারের সঙ্গে নির্যাতিতার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমিক পলাশ তার প্রেমিকার সাথে দেখা করার জন্য গত ১২ জুন দুপুরে মোবাইল ফোনে প্রেমিকাকে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে ডেকে আনে। গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড থেকে ওইদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পলাশের নেতৃত্বে ২ সহযোগী ওই স্কুলছাত্রীকে ইজিবাইকে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর স্কুলছাত্রীকে বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে ধর্ষণ করে পলাশ।
অপহৃতার স্বজনরা খোঁজখবর নিয়ে উজিরপুর থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে উজিরপুরে অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে কালকিনি থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। কালকিনি থানা পুলিশ ঘটনাস্থল গৌরনদী থানা এলাকায় হওয়ায় শুক্রবার সকালে স্কুলছাত্রী ও গ্রেপ্তারকৃত ওই ৩ জনকে গৌরনদী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নির্যাতিতাকে শুক্রবার দুপুরে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নির্যাতিতা আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
খোলাডাক/এনএস