শারীরিক মিলনে ৫ উপকার
চিকিৎসাবিজ্ঞান বলে, সঙ্গীর সঙ্গে মিলন হলো একটি ব্যায়াম। সুস্থ থাকতে যা নিয়মিত করা উচিত। কিন্তু অনেক সময় হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায় এ মিলন। কারও সাময়িকভাবে, কারও আবার স্থায়ীভাবে। সাময়িক হোক আর স্থায়ীভাবেই হোক মিলন বন্ধ হয়ে গেলে অনেক বড় বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় নারী-পুরুষকে।
‘আমেরিকান জার্নাল অফ মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছে পাঁচটি বড় সমস্যার কথা।
১. হঠাৎ করে সঙ্গীর সঙ্গে মিলন বন্ধ হলে ইরেক্টাইল ডিসফাংশন দেখা দিতে পারে। অন্তত ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে এমনটা হয়ে থাকে। ‘আমেরিকান জার্নাল অফ মেডিসিন’–এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছে, নিয়মিত মিলন পুরুষাঙ্গকে সুস্থ রাখে। সপ্তাহে যারা অন্তত একদিন মিলিত হয়, তাদের ক্ষেত্রে আচমকা মিলন বন্ধ হয়ে গেলে ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের সম্ভাবনা কিঞ্চিৎ কম, বা দেরিতে আসে।
২. মিলনের ফলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। অর্থাৎ, আচমকা মিলন বন্ধ হয়ে গেলে প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় উদ্বেগজনক হারে।
৩. মিলনের ইচ্ছা ক্রমেই কমে যেতে বাধ্য হয়। দেখা গেছে, আচমকা মিলন বন্ধ হয়ে গেলে, প্রথম দিকে মিলনের একটা প্রবল ইচ্ছা জেগে উঠতে পারে। কিন্তু দীর্ঘদিন না-থাকলে, তা ক্রমশ স্তিমিত হবে। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে, কোন অবস্থায় মিলনে ছেদ আসছে? প্রবল মানসিক ঝড়ঝাপটা এলে মিলনের ইচ্ছা একেবারে গোড়া থেকেই লুপ্ত হতে পারে।
৪. সঙ্গীর সঙ্গে মিলন মনকে হালকা করে। রিল্যাক্সড থাকতে সাহায্য করে। স্বাভাবিকভাবেই মিলন না-থাকলে সেটি হারিয়ে যাবে জীবন থেকে।
৫. নিয়মিত মিলন মানুষের মস্তিষ্ক অনেক বেশি সচল থাকে। অর্থাৎ, বুদ্ধিতে শান পড়ে নিয়মিত। স্মৃতিশক্তি এবং বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে মিলনের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক প্রমাণিত হয়েছে একাধিক গবেষণায়। ফলে, আচমকা মিলন হারিয়ে গেলে মস্তিষ্কে ঘাটতি হতেই পারে।