সোমবার, ৮ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ ও দুর্নীতি | আন্তর্জাতিক » মানবপাচার ও অর্থপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার এমপি পাপুল
মানবপাচার ও অর্থপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার এমপি পাপুল
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল।কুয়েতে গ্রেপ্তার হয়েছেন।তিনি মানবপাচার ও অর্থপাচারের অভিযোগে কুয়েতের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
শনিবার রাতে কুয়েতের সিআইডি সদস্যরা মুশরেফ আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘কাজী পাপুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে আমরা শুনেছি। তবে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের কিছু জানানো হয়নি।’
কুয়েতের বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, দেশটিতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর মানব পাচার ও অর্থ পাচারের অভিযোগে ১০০ জনেরও বেশি ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তার করেছে সরকারের গোয়েন্দা বিভাগ। বাংলাদেশের সংসদ সদস্য কাজী পাপুলের নামও এই তালিকায় ছিল। মার্চ মাসের শেষ দিক থেকে কুয়েতেই অবস্থান করছেন তিনি।
কুয়েতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে দেশটির দৈনিক পত্রিকা আল-কাবাস জানিয়েছে, অর্থ পাচার ও মানব পাচারের সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এক বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি।
পত্রিকার ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তি ৩ জনের একটি গ্যাংয়ের সদস্য। গ্যাংয়ের অন্য দুই সদস্য আগে থেকে বিপদ আচ করতে পেরে দেশ থেকে পালিয়েছেন।
আল কাবাস আরও জানায়, এই ৩ ব্যক্তি দেশটির বড় বড় ৩টি কোম্পানির অত্যন্ত গুরুত্ত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। সংসদ সদস্যসহ তিনজনের চক্রটি অন্তত ২০ হাজার বাংলাদেশিকে কুয়েতে পাঠিয়ে প্রায় এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা আয় করেছে।
এদিকে রোববার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় পাপুলের স্ত্রী ও জাতীয় সংসদের ৩৪৯ নস্বর সংরক্ষিত আসনের সাংসদ সেলিনা ইসলাম বলেন, লক্ষ্মীপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল কুয়েতে গ্রেপ্তার সম্পর্কিত যে তথ্য গণমাধ্যমে এসেছে, তা ঠিক নয় । তিনি সেখানে কোনো মামলার আসামি নন। কুয়েত সরকার তাদের নিয়ম অনুযায়ী সেখানকার সরকারি দপ্তর বা সিআইডিতে ডেকে নিয়েছে। দূতাবাসের পরিষ্কার কোনো তথ্য ছাড়া কাউকে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
দুর্নীতি ও বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগে কাজী পাপুলের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটি সূত্রে জানা যায়, সাংসদ কাজী পাপুলের (শহীদ ইসলাম) বিরুদ্ধে কমিশন খেয়ে ব্যাংকঋণ বরাদ্দসহ বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারে তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কুয়েতেই অবস্থান করছিলেন। সেখান তার বড় ব্যবসা রয়েছে।