চাল-অস্ত্রসহ আওয়ামী লীগ নেতা বরকত গ্রেপ্তার
ফরিদপুর প্রতিনিধি-
আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক, টাকা ও বিপুল পরিমাণ সরকারি চালসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই। এছাড়া তাদের সঙ্গে আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বাকিরা হলেন, বরকতের সহযোগী ইয়াসমিন সুলতানা বন্যা মণ্ডল, এনামুল ইসলাম জনি, অমিয় সরকার, ফরিদপুর পৌরসভার বর্ধিত ১৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চক্রবর্তী, সাবেক ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাহফুজুর রহমান মামুন ও জাহিদ খান নামে এক ব্যক্তি।
বরকত ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ফরিদপুর জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি ও বরকত গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেল (৪৪) ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও ফরিদপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক ভোরের প্রত্যাশা পত্রিকার সম্পাদক।
সোমবার দুপুরে জেলার পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, গত ১৬ মে ফরিদপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবলচন্দ্র সাহার বাড়িতে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও মারধরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহরের বদরপুর মোড় থেকে প্রথমে বরকত, রুবেল ও রেজাউল করিম বিপুল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তত্যের ভিত্তিতে অন্য ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে পাঁচটি পিস্তল, ৯১ রাউন্ড গুলি, দুটি শর্টগান, ১৮০টি কার্তুজ, তিন হাজার ডলার, ৯৮ হাজার রুপি ও ২৯ হাজার টাকা। এছাড়া বরকতের রেস্ট হাউসে ছয় বোতল বিদেশি মদ, খাদ্য অধিদপ্তরের ১২০০ বস্তায় ৬০ হাজার কেজি চাল এবং রুবেলের ড্রয়ারে ৬৫টি ইয়াবা পাওয়া গেছে।
তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে এবং সরকারি চাল আত্মসাতের অপরাধে নিয়মিত মামলা হবে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, তাদের বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ও জমি দখলসহ বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।