বিএনপি’র দপ্তরে সমন্বয়হীনতা
নিজস্ব প্রতিবেদক
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার আশু রোগমুক্তি কামনা করে গণমাধ্যমে বিবৃতিতে দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু জাফরুল্লাহ’র আশু রোগমুক্তি কামনায় বিএনপির বিবৃতিতে দলটির দপ্তরের সমন্বয়হীনতা দেখা গেছে।
দেখা গেছে, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আশু রোগমুক্তি কামনা করে বিএনপির দপ্তর থেকে দুপুর ১২টার দিকে একটি বিবৃতি দেয়া হয়। পরে একই বিষয়ে দুপুর ১টার দিকে যে সংশোধনী বিবৃতি দেয়া হয় তা নিয়ে বিএনপির মধ্যে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক শীর্ষ নেতা বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, বিএনপির সিনিয়র নেতারা ২০১০ সালের পর থেকেই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করছেন। এজন্য বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীদেরকে খেরাসত দিতে হয়েছে। আর সেটা তারা এখনোও দিচ্ছেন। আর ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিষয়টা তো সামান্য ভুল। কিন্তু এজন্য সংশোধনী বিবৃতি দিয়ে লাভ নেই। কারণ ভুল তো ভুলেই।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমেদ স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো একটি বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত করোনার কিট পরীক্ষার সমাধান করার দাবি জানান।
সেখানে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে সংক্রমণের হার দ্রুত বাড়ছে এবং এতে করে মৃত্যুর হারও বাড়ছে। আমরা ইতোমধ্যে গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, সাধারণ জনগোষ্ঠীর সঙ্গে দেশের বরেণ্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ আক্রান্ত হচ্ছেন ও মৃত্যুবরণ করছেন। আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে আরও লক্ষ্য করেছি যে, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কর্তৃক উদ্ভাবিত করোনা পরীক্ষার কিট যখন বিএসএমএমইউ হাসপাতালে ট্রায়াল পরীক্ষা হচ্ছিল সেই সময়ে হঠাৎ করেই সরকারের ঔষুধ প্রশাসন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কর্তৃক উদ্ভাবিত করোনা পরীক্ষার ট্রায়াল স্থগিত করে দিয়েছে। এতে করে প্রতীয়মান হয় যে, ঔষুধ প্রশাসন উদ্দেশ্যমূলকভাবেই করোনার পরীক্ষা করতে আগ্রহী নয়। আমরা দাবি করছি, অবিলম্বে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কর্তৃক উদ্ভাবিত করোনা কিট পরীক্ষার সমাধান হোক।
ফখরুল আরো বলেন, দেশের বরেণ্য বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, চিকিৎসক ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আমি তার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।
তিনি বলেন, অন্যান্য যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদেরও আশু রোগমুক্তি কামনা করছি। ইতোমধ্যে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, গণমাধ্যম কর্মী, রাজনীতিক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতৃবর্গ যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের প্রতি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আপনারা ঘরে থাকুন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।
পরে দুপুর ১টার দিকে বেলাল আহমেদ স্বাক্ষরিত অপর এক সংশোধনী বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, করোনাভাইরাসে সংক্রমণের হার দ্রুত বাড়ছে এবং এতে করে মৃত্যুর হারও বাড়ছে। আমরা ইতোমধ্যে গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, সাধারণ জনগোষ্ঠীর সঙ্গে দেশের বরেণ্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ আক্রান্ত হচ্ছেন ও মৃত্যুবরণ করছেন।
‘দেশের বরেণ্য বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, চিকিৎসক ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আমি তার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।’
‘অন্যান্য যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদেরও আশু রোগমুক্তি কামনা করছি। ইতোমধ্যে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, গণমাধ্যম কর্মী, রাজনীতিক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতৃবর্গ যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের প্রতি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বানও জানান ফখরুল।