শনিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২০
প্রথম পাতা » » করোনা চলে ভাড়া হুন্ডায়
করোনা চলে ভাড়া হুন্ডায়
আমজাদ হোসেন আমু : করোনা ভাইরাস একটি মহামারী জীবানু। এটি সারা দেশকে আক্রান্ত করে পেলেছে। দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৮ শত। মৃতের সংখ্যা ৫০ জন। সুস্থের সংখ্যা তেমন নেই বললেই চলে।করোনা ভাইরাস সাধারণত মানুষের শরীর থেকেই ছড়ায়। এটি একটি ছোঁয়াছে রোগ। এ ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমন করে।
দেশের রাজধানী ঢাকা পাশ্ববর্তী নারায়ণগন্জ। নারায়ণগন্জ করোনার আতুড়ঘর। সরকার সারা দেশকে লক ডাউন ঘোষনা দিয়েছে। বিশেষ করে নারায়ণগন্জ থেকে কোন মানুষ যেন বের হতে বা প্রবেশ করতে না পারে। কারণ দেশের ৭০ % লোক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তালিকায় নারায়ণগন্জের অধিবাসী। নারায়ণগন্জ থেকে আগতদের মধ্যে থেকে এ ভাইরাস গ্রামে ছড়িয়েছে। কিন্তু কে শুনে কার কথা…
লক ডাউন কি? কেন? কার জন্য দেওয়া হচ্ছে এটা কেউ বুঝেই না… সারা দেশে যখন দুর পাল্লা বা যাত্রী বাহী গাড়ী বন্ধ ঘোষনা কর হয়। তখন মানুষ বাড়িতে আসতে বিভিন্ন পরিবহন যেমন, কেউ হেঁটে, কেউ ছোট ছোট গাড়িতে করে, কেউ বা নিজ এলাকা থেকে মোটর সাইকেল চড়া দামে ভাড়া করে বাড়িতে আসতেছে। ঠিক তেমনটি থেমে নেই… লক্ষ্মীপুরের রায়পুর, রামগন্জ, রামগতি, সদর ও কমলনগর উপজেলা । তবে দুঃখের বিষয় এদের মধ্যে কমলনগর উপজেলায় এর প্রভাব অনেকটাই বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ উপজেলা থেকে মোটরসাইকেল যোগে ৭ হাজার টাকা ভাড়ায় নারায়ণগন্জ থেকে যাত্রী আনা হয়েছে। তাহলে বিষয়টি একটু চিন্তা করেন… এত কিছুর পরও আমরা কতটা সচেতন…? যেখানে নিজের ধংস! সেখানে তার পরিবার পরিজনের কোন চিন্তা মাথায় আছে…?
তবে থেমে নেই মোটরসাইকেলে করে যাত্রী যাতায়াত। চলছে প্রতিনিয়ত নারায়ণগন্জ সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রী নেওয়া এবং আনা। এদের দেখে মনে হচ্ছে এরা করোনা ভাইরাসকে হুন্ডা করে এ গ্রাম থেকে ঐ গ্রামে যাতায়াত করছে। নারায়ণগন্জ থেকে আসা কয়েকজনের স্যাম্পল সংগ্রহ করে টেষ্টে পাঠানো হয়েছে। এবং প্রতিদিন কোন না কোন বাড়িকে লকডাউন করতে হচ্ছে।
ডিসি ও জেলা সিভিল সার্জনের ভাষ্যমতে, করোনায় আক্রান্তদের বেশির ভাগই নারায়ণগন্জ থেকে আসা অধিবাসী।
ইতিমধ্যে লক্ষ্মীপুরে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৯ জন। তার মধ্যে রামগন্জ ১৪, সদর ০১, রামগতি ০১, কমলনগর ০৩ জন। তবে দুঃখের বিষয় এদের সংক্রমন সব নারায়ণগন্জ থেকে আগতরায়। খুব দ্রুত এসব (হুন্ডা) মোটরসাইকেল চলাচল থামাতে না পারলে লক্ষ্মীপুর জেলা খুব তাড়াতাড়ি করোনার আতুঘর হিসেবে দেশের মধ্যে পরিচিতি লাভ করবে।
স্থানীদের মতে, প্রতিনিয়ত কমলনগরের হাজিরহাট, করুনানগর, চর লরেন্সসহ সবখানে ভাড়া মোটরসাইকেল দিয়ে যাত্রী যাতায়াত করা হয়। যত দ্রুত সম্ভব প্রশাসন যেন এদের খুব কঠোরভাবে দমন করে। তা না হলে কমলনগর হবে করোনা ভাইরাসের জমের ঘর। তারা আরও দাবী করেন, প্রশাসন যেন বিষয়টি আমলে নেয়। এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেন।
উপজেলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আফছার বলেন, ভাড়া হুন্ডায় লোক যাতায়াতের বিষয়টি শুনেছি। দুর থেকে আসা কিছু লোকের স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়েছে। এদের বাড়ি লক ডাউন করেছি। আরও খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। খবরের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এবং জনগনকে প্রয়োজনীয় সচেনতা রক্ষায় কাজ চলছে।
খোলাডাক / এনএন/ডেস্ক