শিশুর যত্নে প্রয়োজনীয় টিপস
বিশেষ ডেক্স : সন্তান বাবা-মার জন্য আর্শিবাদ। দীর্ঘ অপেক্ষার সন্তান জন্ম দেয়। সন্তান যখন মায়ের গর্ভে থাকে তখন মা-বাবার যত্নের কমতি থাকে না। সন্তান পৃথিবীতে আসলে মা-বাবার দায়িত্ব অনেক বেড়ে যায়।
কারণ সন্তানকে আর্দশিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি মা-বাবা চায় তার সন্তান সঠিক পরিচর্য়ায় মানুষ হোক। যেন কোন কমতি না থাকে। মা-বাবার সন্তানের প্রতি একটু কমতি থাকলে সন্কানের জীবন বিপন্ন হতে পারে। তাই তার সন্তানে যত্নের আমরা সচেতন। এবং আপনিও সচেতন হোন…
আদরের শিশুটির জন্য করনীয় কাজ…
১। ভুল করেও আপনার সদ্যজাত নবজাতক শিশুকে বুকের দুধ ছাড়া অন্য কিছু খেতে দিবেন না। অনেকে পানি, মধু, চিনির পানি বা মিসরির পানি খেতে দেন। এটা করা যাবে না।
২। শিশু জন্মের পর প্রথম তিন দিন পর্যন্ত শিশুকে গোসল করাবেন না।
৩। শিশু যদি না খেতে চায় তাকে জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন না।
৪। শিশুকে কখনোই একা একা উঁচু স্থানে বসিয়ে রেখে আপনি দূরে কোথাও যাবেন না।
৫। গোসল করিয়ে সাথে সাথে শিশুর শরীরে তেল লাগাবেন না। বরং গোসলের আগে তেল ব্যবহার করতে পারেন।
৬। প্রথম ৬ মাস শিশুকে বুকের দুধ ছাড়া অন্য কিছু খেতে দিবেন না।
৭। শিশু কান্না করলে তাকে শান্ত রাখার জন্য মুখে চুষনি দিবেন না।
৮। রাতে ঘুমের মধ্যে বুকের দুধ ছাড়া অন্য কোন খাবার শিশুর মুখে দেবেন না।
৯। অনেকের ধারণা জ্বর হলে মোটা কাঁথা-কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখলে জ্বর কমে যাবে। ভুলেও এ কাজ করবেন না। শিশু যেভাবে আরাম বোধ করে সেভাবে রাখুন।
১০। ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হলে স্যালাইন এর পাশাপাশি সব খাবার দিবেন শিশুকে। কোন খাবার বন্ধ করবেন না।
১১। কখনোই অতিরিক্ত কাপড় দিয়ে শিশুর উপর চাপ সৃষ্টি করবেন না।
১২। আপনার শিশুকে বাহিরের কোন খাবার, দীর্ঘ দিনের ফ্রিজের খাবার বা বাসি খাবার দেবেন না।নিজে হাতে তৈরি করুন তার খাবার।
১৩। শিশু যতদিন না নিজে নিজে হাঁটতে পারে ততদিন শিশুকে ওয়াকার দিয়ে হাঁটানোর চেষ্টা করবেন না।
১৪। শিশুর যদি শ্বাস কষ্টের জন্য ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে তাকে কখনোই ঘুমের ওষুধ দিবেন না।
১৫ অনেকের ধারনা কলা, কমলা ও অন্যান্য ফলমূল খেলে শিশুর ঠাণ্ডা লাগে বা বেড়ে যায়। এ ধারণা মোটেও ঠিক নয়। সব ফলমূল খেতে দিন আপনার শিশুকে।
১৬। না ধুয়ে কোন ফল খাওয়াবেন না শিশুকে।
১৭। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া নিজে শিশুকে কখনো কোন ওষুধ খাওয়াবেন না।
১৮। শিশু না খেলে বা দুষ্টমি করলে কখনো তাকে ভয় দেখাবেন না। এতে আপনার শিশুর মানসিক সমস্যা হতে পারে।
১৯। শিশুকে কখনো মারবেন না, সে কোন খারাপ কিছু করলে তাকে বুঝিয়ে বলুন।
২০। শিশুর সামনে বসে কখনো ধূমপান করবেন না।
২১। শিশুকে সাথে নিয়ে কোন ধরনের ভয়ের সিনেমা বা নাটক দেখবেন না।
২২। রান্নাঘর বা টয়লেটে একা একা আপনার শিশুকে যেতে দিবেন না।
২৩। কোন ধরনের ধারালো জিনিস যেমন সুই, কাঁচি, ছুরি এগুলো শিশুর সামনে রাখবেন না।
২৪। সমস্যা খুব গুরুতর না হলে শিশুর এক্সরে করবেন না।
২৫। সবরকম ওষুধ শিশুর নাগালের বাইরে রাখুন।
শিশুকে নিরাপদে রাখতে মেনে চলুন সব ধরনের সতর্কতা। ভালো থাকুক আপনার শিশু সন্তান।
খোলাডাক / সংরক্ষিত