রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » » ডাবল সেঞ্চুরিতে রসুন
ডাবল সেঞ্চুরিতে রসুন
পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা কিছুটা কমে গেলেও নতুন করে অস্থির হয়ে উঠেছে রসুনের বাজার। পেঁয়াজের দাম ১৩০-১৫০ টাকার মধ্যে উঠা-নামা করলেও রসুনের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০০ টাকা।
সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে আমদানি করা রসুনের দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়ে এখন তা ডাবল সেঞ্চুরি পার করেছে। এদিকে কেজিতে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে দেশি রসুনের দাম।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আদা-রসুনের বাড়তি দামের জন্য দায়ী চীনের করোনা ভাইরাস। দেশটি থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় রসুনের দাম বেড়েছে। আজ শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখলে এসব চিত্র উঠে আসে।
এসব বাজারে আমদানি করা চায়না রসুন কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়ে এখন তা বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ২০০ থেকে ২১০ টাকা দরে। কেজিতে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে দেশি রসুনের দাম। দেশি রসুন ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও সপ্তাহের ব্যবধানে এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে। আর নতুন রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা প্রতি কেজি।
এদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি আদার দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। বাজারগুলোতে দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা, চায়না আদা ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা, দেশি নতুন আদা ১৯০ টাকা ও সিলং আদা ১৭০ টাকা।
প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, মিশরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা, বার্মা ১১০ টাকা এবং চায়না পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়।
হঠাৎ আদা ও রসুনের বাড়তি দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজার আদা-রসুন ব্যবসায়ী মায়ের দোয়া বাণিজ্যলয়ের পরিচালক মো. সাগর বলেন, ‘আমাদের আদা ও রসুনের বড় অংশটা আসে চীন থেকে। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে চীন থেকে আমদানি বন্ধ রয়েছে। এ কারণে দাম বাড়তি।’