রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » » মুজিববর্ষে ২১ লাখ নিরক্ষর মৌলিক সাক্ষরতা আওতায়
মুজিববর্ষে ২১ লাখ নিরক্ষর মৌলিক সাক্ষরতা আওতায়
দেশের ২১ লাখ নিরক্ষর নারী ও পুরুষ মুজিববর্ষে মৌলিক সাক্ষরতা পাবেন। দেশের ৬০ জেলার ১১৪টি উপজেলার নিরক্ষর এসব মানুষকে মৌলিক সাক্ষরতার আওতায় নিয়ে আসা হবে। জীবনদক্ষতা সম্পর্কে জ্ঞান দিতে এই কর্মসূচি শুরু হবে আগামী মার্চ মাসে।
উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ড. মোছা. ফাহিমদা বেগম বলেন, ‘১১৪টি উপজেলায় ২১ লাখ নিরক্ষরকে সাক্ষরতা দিতে মাঠ পর্যায়ের কর্মসূচি বাস্তবায়নে ১১৪টি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) কাজ করবে।
এনজিওগুলোর মাধ্যমে কর্ম এলাকায় বেজলাইন সার্ভের মাধ্যমে ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী নিরক্ষরদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। শিখন কেন্দ্রের স্থান নির্বাচন করে শিক্ষক ও সুপারভাইজার নিয়োগ করে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়ার কাজ প্রায় শেষ।
মুজিববর্ষ শুরু হলেই এই কর্মসূচি শুরু হবে। ছয় মাসের মধ্যে মৌলিক সাক্ষরতা পাবেন ২১ লাখ নিরক্ষর মানুষ।’
এনজিওগুলোর বেইজলাইন সার্ভের মাধ্যমে তৈরি করা ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী নারী-পূরুষের তালিকা ঠিক আছে কিনা তা যাচাইয়ে সংশ্লিষ্ট ৬০টি জেলার জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালকদের তালিকাসহ প্রতিবেদন পাঠাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মুজিবর্ষ উপলক্ষে ‘মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প ৬৪ জেলা’ এর দ্বিতীয় পর্যায়ের কর্মসূচি মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য এই পদক্ষেপ নেয়া হয়।
‘মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প ৬৪ জেলা’ এর আওতায় দেশের ৬৪ জেলায় নির্বাচিত ২৫০টি উপজেলার ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ৪৫ লাখ নিরক্ষরকে সাক্ষরতা জ্ঞান দেওয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে প্রকল্পের মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে ১৩৪টি উপজেলায় শিখন কেন্দ্রের মাধ্যমে ২৩ লাখ ৫৯ হাজার ৪৪১ জন নিরক্ষরকে সাক্ষরতা দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৩ লাখ নারী-পুরুষকে সাক্ষরতা দেয়া হবে।
ব্যুরোর সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ড. মোছা. ফাহিমদা বেগম বলেন, ‘মৌলিক সাক্ষরতার মাধ্যমে শুধু নাম সাক্ষর নয়, লিখতে, পড়তে ও সাধারণ যোগ, বিয়োগ, গুণ ও ভাগ করাসহ হিসাব শেখানো হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘সরকারের টার্গেট ছিল ৪৫ লাখ নিরক্ষরকে মৌলিক স্বাক্ষর জ্ঞান দেয়া হবে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে ছয় মাসে ২১ লাখ নারী-পুরুষকে স্বাক্ষর জ্ঞান দেয়া হবে।