পোড়া মবিলকে সরিষার তৈল নামে বাজারজাত
খোলাডেক্স : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে জাহাজের পোড়া মবিলকে বিদেশি সরিষা তেল বলে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও এসব পোড়া মবিলকে সরিষার সাথে মিক্স করে মিশিয়ে ভেজাল সরিষা তেল তৈরি করে মুনাফার লোভে বাজারজাত করা হয়। অভিযানে মদিনা অয়েল মালিক আব্বাস আলীকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে।
অন্যদিকে, অস্বাস্থ্যকর-নোংরা পরিবেশে বেকারী পণ্য সামগ্রী উৎপাদনে পণ্যে দ্রব্যে কেমিক্যাল ও মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্যে ব্যবহার, (বিএসটিআই)অনুমোদনহীন ভাবে খাদ্য পণ্য পরিবেশনের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন বেকারীগুলোতে অভিযান চালায়। এসময় মালিকদের বিভিন্ন অংকে মোট ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
গত বুধবার দিনব্যাপি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বেকারিগুলোতে এই অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ নাসরীন পারভীন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আসলাম হোসাইন।
জানা গেছে, উপজেলার বেকারি বেকারীগুলোতে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাদ্য সামগ্রী তৈরি করা হচ্ছে ভোক্তাদের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে বাগবাড়ী, গোবিন্দাসী, কষ্টাপাড়া, রুহুলী (নৌকা মোড়), কয়েড়া ও ভালকুটিয়া গ্রামের ৮ টি বেকারিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এবং অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
একই দিনে সন্ধ্যায় ভূঞাপুর পৌর সভার সামনে মদিনা অয়েল মিলে ভেজাল তেল বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৪৮ ড্রাম ক্রুড অয়েল মিশ্রিত ভেজাল সরিষা তেল জব্দ করে তেল ফেলে দেওয়া হয়।
উপজেলার ভেজাল বিরোধী অভিযানের বিষয়ে কমিশনার (ভূমি) মো. আসলাম হোসাইন বলেন, সারা দিন ব্যাপি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ৮টি বেকারি পণ্য উৎপাদন কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এতে করে বেকারী মালিকদের মোট ১ লাখ ৮০ হাজার ও ভেজাল সরিষার তৈরি করায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
নির্বাহী অফিসার মোছাঃ নাসরীন পারভীন বলেন, ভেজাল খাবার খেয়ে মানুষ প্রতিনিয়ত অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে। এই উপজেলাকে ভেজাল মুক্ত করার জন্যই আমাদের এ অভিযান। অল্প কিছু জরিমানা করে এদেরকে সতর্ক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে আবারো এমন ভেজাল বেকারী উৎপাদন করলে ওই ফ্যাক্টরিতে সিল গালা করে বন্ধ করা হবে। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
খোলাডাক / এসবি