ভারতের ক্ষমতাসীনদের সভাপতি কে হবে..!
বিশেষ প্রতিবেদন : ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সভাপতি কে হবেন। নাম ঘোষণা করা হবে আজ।
জানা গেছে, বিজেপির সভাপতি পদ হারাতে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার উত্তরাধিকারী হিসেবে বিজেপির সর্বোচ্চ পদে বসতে চলেছেন কার্যনির্বাহী সভাপতি জেপি নাড্ডা।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, আজ সকাল থেকে শুরু হবে ভোটের প্রক্রিয়া। জগৎপ্রকাশ নাড্ডা ছাড়া অন্য কেউ মনোনয়ন পেশ করবেন, এমন সম্ভাবনাও কেউ দেখছেন না। ফলে অমিত শাহের উত্তরসূরি হতে চলেছেন তিনিই।
রোববার রাতে অমিত শাহ দলের দফতরে বৈঠক করেছেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন নাড্ডাসহ কয়েক জন শীর্ষ নেতা।
দলের পক্ষে থেকে জানানো হয়েছে, আজ দুপুর আড়াইার দিকে পরবর্তী দলীয় সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে।
বিজেপির এক নেতা বলছেন, ‘ঠিক ছিল, গত শুক্রবার নির্বাচন প্রক্রিয়ায় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রাধামোহন সিংহ সাংবাদিক বৈঠক করে সভাপতি পদে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করবেন। কিন্তু সেটি করতে দেয়া হয়নি। শুধুমাত্র একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়। অথচ এর আগে সব সভাপতি নির্বাচনের আগে ও পরে ধুমধাম করা হয়েছে।’
ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল, আজ সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলবে। প্রয়োজনে মঙ্গলবার ভোটাভুটি হবে। কিন্তু এ দিনের এই ঘোষণার পরে প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে বিজেপির সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার স্থানই কি নেই? তা না হলে নির্বাচন হওয়ার আগের দিনই সভাপতির নাম ঘোষণার সময় ঘোষণা করে দেয়া হল কীভাবে?
বিজেপি নেতারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, নাড্ডার অভিষেকের আগে পশ্চিমবঙ্গসহ দেশের অর্ধেকের বেশি রাজ্যে সভাপতি পদে নির্বাচন হয়েছে। আর সিংহভাগ রাজ্যেই তারাই সভাপতি পদে বহাল থেকেছেন, অমিত শাহের আমলে যারা দায়িত্ব পেয়েছেন।
বিজেপি শিবিরের দাবি, অটলবিহারী বাজপেয়ী যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, লালকৃষ্ণ আদভানি ছিলেন উপপ্রধানমন্ত্রী। সেই সময়ে কুশাভাই ঠাকরে, বঙ্গারু লক্ষ্মণ, জনা কৃষ্ণমূর্তি, বেঙ্কাইয়া নায়ডুর মতো নেতারা বিজেপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
এর মধ্যে কুশাভাই ঠাকরের একটু দাপট ছিল। কিন্তু বাকিরা অটল-আদভানির ইশারাতেই দল চালাতেন। এখন ক্ষমতার রাশ নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ জুটির হাতে। প্রশ্ন উঠছে, নাড্ডার অভিষেকের পর কি বিজেপির পুরনো রেওয়াজই ফের বহাল হবে?
খোলাডাক / সূত্র আনন্দবাজার