চীনে অজানা ভাইরাসে আক্রান্ত প্রায় ১৮’শত
বিশেষ প্রতিবেদন : চীনে রহস্যজনক বা অজানা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ১৮০০ মানুষ। এ পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুই জন মারা গেছে। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন শত শত মানুষ।
অজানা এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সরকারি হিসাবের তুলনায় অনেক বেশি বলে জানিয়েছে বিজ্ঞানীরা।
ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এখন পর্যন্ত ৪১ জনের নতুন এই ভাইরাসের আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভাইরাসে প্রায় ১৮০০ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এই ভাইরাস নিয়ে লন্ডনের ইমপিরিয়াল কলেজে ‘এমআরসি সেন্টার’ কাজ করছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, এক ব্যক্তির শরীর থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কোনো ঘটনা না ঘটলেও এ ধরনের সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে পরিবারের লোকজনের মধ্যে সংক্রমণের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি।
সংবাদ সংস্থা বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ডিসেম্বরে উহান শহরে প্রাদুর্ভাব ঘটা এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও থাইল্যান্ডে দুজন এবং জাপানে একজন আক্রান্ত হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন চারজন। উহান মিউনিসিপাল হেলথ কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ওই চার ব্যক্তি আশঙ্কামুক্ত।
চীনের এই ভাইরাস নিয়ে বিমানবন্দরে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে সিঙ্গাপুর, হংকং ও যুক্তরাষ্ট্র।
সিঙ্গাপুর ও হংকং চীনের উহান শহর থেকে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে। শুক্রবার একই ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান তিনটি বিমানবন্দর সান ফ্রানসিসকো, লস অ্যাঞ্জেলেস ও নিউইয়র্কেও।
ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে গবেষণা করা ব্রিটিশ বিজ্ঞানী অধ্যাপক নিল ফেরগুসন বলেছেন, এই বিষয়ে আমি এক সপ্তাহ আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি উদ্বিগ্ন। ইমপিরিয়াল কলেজ লন্ডনে ভাইরাসটি নিয়ে কাজ করেছে যুক্তরাজ্য সরকার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শক সংস্থা এমআরসি সেন্টার ফর গ্লোবাল ইনফেকশিয়াস ডিজিজ অ্যানালাইসিস।
উহানের স্বাস্থ্য বিভাগ বলেছে, নতুন এই সংক্রমণের কারণ খোঁজার চেষ্টা করছে তারা।
চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উহান শহরে সামুদ্রিক খাবার বিক্রির একটি স্থানীয় বাজার থেকে এই ভাইরাসটি ছড়িয়েছে। এটি নিউমোনিয়ার মতো এক ধরনের করোনা ভাইরাস। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলো হলো জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট যা থেকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মনে হতে পারে তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০০২ থেকে ২০০৩ সালে চীনের মূল ভূখণ্ডে সার্সে আক্রান্ত হয়ে ৮০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
খোলাডাক / সংগৃহীত