নাটোরে রাস্তা ছাড়া দাড়িয়ে রয়েছে ব্রিজ
নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার কালিকাপুর গ্রামে মাঠের মাঝে রাস্তা ছাড়া নির্মিত হয়ে দাড়িয়ে রয়েছে একটি ব্রিজ। দুই বছর আগে নির্মাণ করা হয় এ ব্রিজটি। কিন্তু নির্মাণ করা হয়নি সংযোগ সড়ক। ফলে ২১ লাখ টাকার ২৬ ফুট দৈর্ঘ্যর এই ব্রিজটির কোন সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। এমনটাই জানা যায়।
ব্রিজটির দু’পাশে রাস্তার অস্তিত্ব দেখা গেলেও পর্যাপ্ত মাটি ভরাটের অভাবে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় স্থানীয়রা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানায়, এলাকাটি কৃষিপ্রধান হওয়ায় উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের কালিকাপুর, চাপাপুকুর, কৈচরপাড়া গ্রামের মাঠে ধান, গম, মসুর, সরিষাসহ নানান ফসলের আবাদ হয়। মাঠ থেকে কৃষকরা ভ্যান, পাওয়ার ট্রিলার এবং মহিষের গাড়িতে করে সমতলের ওই রাস্তা দিয়ে ফসল পরিবহন করতো। এরপর গত দু’বছর পূর্বে হঠাৎ মাঠের মাঝে ওই রাস্তায় ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ব্রিজের সাথে সংযোগ সড়ক তৈরি করা হয়নি। এর ফলে সমতলের রাস্তাটিও এখন আর ব্যবহার করতে পারছেন না কৃষকরা।
ব্রিজের সাথে সংযোগ সড়ক ও রাস্তায় মাটি কেটে উঁচু না করায় ব্রিজের পাশের অন্যের জমি দিয়ে কৃষিপণ্য আনা-নেয়া করতে হচ্ছে। এলাকাবাসীদের দুর্ভোগ রোধে দ্রুত মাটি ভরাট করে রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন কৃষকসহ সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠের মাঝখানে ব্রিজটি তৈরি করা হয়েছে। ব্রিজের গোড়ায় কিছুটা মাটি ভরাট করা হলেও বাকি রাস্তায় কোন মাটি দেয়া হয়নি। ফলে সামান্য জায়গায় মাটি ভরাট করায় তাল গাছের মতোই এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা ব্রিজটি কোন কাজেই আসছে না।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের কালিকাপুর-চাপাপুকুর সংযোগ রাস্তায় ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ওই ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। গ্রামীণ রাস্তায় সেতু প্রকল্পের আওতায় পিআইও দপ্তরের অধীনে ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৬ ফুট দীর্ঘ ব্রিজটির দুই বছর আগে নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে জামনগর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুসের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আল আমিন সরকার বলেন, তিনি সিংড়া উপজেলায় কর্মরত এবং বাগাতিপাড়া উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন। আগের কর্মকর্তার সময়ে ত্রাণের এই ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি এ সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না।
খোলাডাক / এমএ