কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শ্যামনগরে কলেজ ছাত্রী মরিয়ম খাতুন কে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
নিখোঁজের তিনদিন পর উপজেলার একটি বিল থেকে কলেজছাত্রী মরিয়ম খাতুনের (২২) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় প্রেমিক সুব্রত মন্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ধর্ষণের পর কলেজছাত্রী মরিয়মকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে প্রেমিক সুব্রত। রোববার (১২ জানুয়ারি) নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।
এর আগে শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে ভুরুলিয়া ইউনিয়নের কাচড়াহাটি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে সুব্রতকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সুব্রত মন্ডল (২৪) ওই গ্রামের পরিমল মন্ডলের ছেলে। নিহত মরিয়ম খাতুন ভুরুলিয়া ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের আব্দুল কাদেরের মেয়ে ও শ্যামনগর মহসিন ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী।
এসপি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গত শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকালে ভুরুলিয়া ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের একটি বিলের মধ্যে থেকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় মরিয়ম খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনদিন আগে এশার নামাজের পর বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মরিয়ম। তখন থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। এ ঘটনায় শ্যামনগর থানায় জিডি করেন মরিয়মের বাবা। শুক্রবার সকালে স্থানীয়দের দেয়া খবরের ভিত্তিতে মরিয়মের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মরিয়মের সঙ্গে সুব্রতের দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও ছিল। গত দুই মাস ধরে সুব্রতকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন মরিয়ম। বিয়ে না করলে সুব্রতের বাড়িতে উঠবেন বলেও সাফ জানিয়ে দেন তিনি। এতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে মরিয়মকে হত্যার পরিকল্পনা করেন সুব্রত।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় মোবাইলে মরিয়মকে ডেকে বিলের মধ্যে নিয়ে যান তিনি। সেখানে ধর্ষণের পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে মরিয়মকে হত্যা করেন সুব্রত। তাকে গ্রেফতারের পর এ ঘটনায় মামলা করেন নিহতের ভাই।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কালিগঞ্জ-সার্কেল) জামিরুল ইসলাম ও শ্যামনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদাসহ সাংবাদিকবৃন্দ।
খোলাডাক / এমএ