ব্রিজ নেই, তক্তার সাঁকোতে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার
কমলনগর-রামগতি(লক্ষ্মীপুর)প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার ওকমলনগর উপজেলার পাটারিরহাট ইউনিয়নের সিমান্তবর্তী জারিরদোনা খালের ওপর তক্তার সাঁকো দিয়ে পারাপারে দুর্ভোগের শেষ নেই। এটি রামগতি-কমলনগরের হাজারো বাসিন্দার দেড় যুগধরে ভোগান্তি কারণ।
দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময় দাবি জানিয়ে আসলেও ব্রিজ নির্মাণ হয়নি। বছরের পর বছর স্থানীয়দের ব্যায়ে নির্মিত সাঁকো দিয়ে পারাপার হয় দুই উপজেলার হাজারো বাসিন্দা। দু’-চার মাস পর-পর মেরামতও করেন এলাকাবাসী।এভাবেই চলছে বছরের পর বছর।
প্রতিদিন ওই দুই ইউনিয়নের ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ এ সাঁকো দিয়ে পারাপার হয়। ঝুঁকি নিয়ে স্কুল-কলেজ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও এ সাঁকো দিয়ে চলাচল করে। নড়বড়ে সাঁকোর কারনে শিশু শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারে না। এভাবেই বছরের পর বছর জোড়াতালি দিয়ে চলছে। গ্রাম বাসির দাবি, দীর্ঘদিন এটি এভাবে চললেও এখানে ব্রিজ নির্মানের কোন সরকারী উদ্যোগ নেই।
সম্প্রতি সাঁকোটি ভেঙে খালে পড়ে যায়। পরে আলেকজান্ডার ও পাটোয়ারিরহাট ইউনিয়নের সচেতন লোকজন উদ্যোগ নিয়ে বাজারের ব্যবসায়ী ও গ্রামের লোকজনের নিকট থেকে টাকা সংগ্রহ করে ফের সাঁকো নির্মাণ করেন।
স্থানীয়রা বলেছেন, বারবার ক্ষমতা ও জনপ্রতিনিধিদের পরিবর্তন হলেও তাদের ভাগ্যে পরির্বতন হয়নি। তাদের দুর্ভোগের যেনো শেষ নেই। তাদের দুঃখ-কষ্ট দেখার যেনো কেউ নেই। জনপ্রতিনিধিরা দেখেও না দেখার বান করে থাকেন। সাঁকো মেরামতে রাজনৈতিক নেতা কিংবা জনপ্রতিনিধি কেউই এগিয়ে আসেনি। মেলেনি সরকারি কোনো বরাদ্দ।
স্থানীয় পাটারিরহাট বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন মাস্টার বলেন, সাঁকোটি ভেঙে পড়লেই দুই উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দুই উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায় স্থানীয়দের উদ্যোগে সাঁকো মেরামত করা হয়, কেউ এগিয়ে আসে না।
কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পাটারিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রাজু বলেন, ব্রীজ নির্মানের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি।
কমলনগর উপজেলা প্রকৌশলী সোহেল আনোয়ার বলেন, ওই খালের ওপর দিয়ে ব্রিজ নির্মাণের বিষয়ে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
খোলাডাক/ সাজ