শীত-বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত
খোলাডেক্স : শীতের মৌসুমে টানা বৃষ্টিতে যেন পৌষ মাসকে শ্রাবণ মাসের মতো মনে হচ্ছে। শীত-বৃষ্টিতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) মধ্যরাত থেকে সারাদেশে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তবে শুক্রবার(৩ জানুয়ারি) বেলা ১০টার পর থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ক্রমেই বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে দুপুরের পর থেকে মুষলধারের বৃষ্টির পরিমাণ এত বেশি বৃদ্ধিপায় যে, স্থানীয়দের অনেকের কাছে পৌষ মাসকে শ্রাবণ মাসের মতো মনে হয়েছে বলে অনেকে জানান।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পূবালী লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে যেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। ঢাকায় বাতাসের গতি পূর্ব বা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে
কয়েক ঘন্টার টানা বৃষ্টিতে লোকজন একেবারে ঘরে বন্দী হয়ে পড়ে। এতে শীত-বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সন্ধায় এ সংবাদ লেখার সময়ও বৃষ্টি চলছিল। মাঝে মাঝে আকাশে শব্দ ও করছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃষ্টি থাকতে পারে শনিবার দুপুর পর্যন্ত। তখন আবার তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আবার শৈত্যপ্রবাহ বইতে পারে। এর আগে গত ২৬-২৭ ডিসেম্বর দুদিনের বৃষ্টির পর দেশব্যাপী শীতের তীব্রতা বৃদ্ধিপায়।
শীতের সময় বৃষ্টির কারণে শীত আরো বেড়েছে। শীত আর বৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে জনজীবনে বিপর্যয় নেমে এসেছে। মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে, বিশেষ করে গরিব মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
এদিকে স্থানীয় ভাবে জানা যায়, বৃষ্টিপাতের কারণে উপকূলীয় এলাকার নিচু জমি ও শীতকালীন সবজি ক্ষেতে পানি জমে গেছে। সয়াবিন চাষের জন্য প্রস্তুতকৃত জমিতে পানি জমে সয়াবিন চাষে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত অনেক জায়গা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকতে দেখা গেছে।
খোলাডাক/ আশরাফ রিয়াজ