লাশের গন্ধে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা
মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুরের পুলিশ লাইন্স সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটিতে ৫০০ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। তবে প্রতিষ্ঠানটির কোলঘেঁষে গড়ে ওঠা জেলা সদর হাসপাতালের ময়নাতদন্ত কেন্দ্রের কারণে ব্যহত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম। শুধু এই প্রতিষ্ঠান নয় ব্যহত হচ্ছে আরও একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির স্বাভাবিক কার্যক্রম।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঝখানে সদর হাসপাতালের ময়নাতদন্ত কেন্দ্র হওয়ায় লাশের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা। পচা কিংবা অর্ধগলিত লাশ এনে বাহিরে রাখায় তা বাতাসের সাথে দুর্গন্ধে, রোগ জীবানুতে আক্রান্ত হচ্ছে কোমলমতি শিশুরা।
শিক্ষকদের অভিযোগ, এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে জানালেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেউ।
তবে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, ময়নাতদন্ত কেন্দ্রটি আধুনিকায়ন করা হলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা খুব ভয় পাই। লাশের গন্ধে ক্লাস করতে পারি না। অনেকে ভয়ে কান্নাকাটি করে সেই শব্দে আমাদের ক্লাস করতে সমস্যা হয়।
একই অবস্থা ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদারীপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদেরও। ময়না তদন্ত কেন্দ্রটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে হওয়ায় লাশের দুর্গন্ধে প্রায়ই পাঠদান বন্ধ রাখা হয়। এছাড়া আবাসিক হোস্টেলে থাকা শিক্ষার্থীরাও পড়েন চরম বিড়ম্বনায়।
তারা বলেন, অনেক পচা লাশও আসে। সেই গন্ধে আমাদের খুব সমস্যা হয়।
প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকদের অভিযোগ, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার জানালেও বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না কেউ।
এক শিক্ষক বলেন, আমরাও ভয় পাই।
তবে জেলার সিভিল সার্জনের দাবি, ময়নাতদন্ত কেন্দ্রটি সংস্কার করা হলে এ সমস্যার সমাধান হবে।
মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, লাশ রাখার জন্য ফ্রিজ রাখতে পারলে আশা করি এ সমস্যা হবে না।
১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদারীপুর সদর হাসপাতালে প্রতি বছর গড়ে একশ’টি লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়।