মেঘনায় ইলিশ ধরা বন্ধ
নিজস্ব প্রতিবেদক: মেঘনায় ইলিশ ধরা বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। রাত ১২ টা থেকে বন্ধ থাকবে টানা ২২ দিন। এসময় নদী জেলেদের সকল ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ইলিশ ধরা, বিক্রি, মজুদ এবং পরিবহনের শেষ দিন।
বুধবার (৯ অক্টোবর) রাত ১২টা থেকে শুরু হয়ে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা চলবে। ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে সারা দেশব্যাপী ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রি ও বিনিময় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গণসচেতনতা বাড়াতে ‘মা-ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০১৯’র অংশ হিসেবে আগামী ৯ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুরের রামগতি - কমলনগরের বিভিন্ন মাছ ঘাট ঘুরে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। মাছ ঘাট গুলোতে চলছে মাছ কেনা-বেচার মহা উৎসব। মাছের দাম অনেকটা বেশি দেখা যাচ্ছে।
নদী থেকে জেলেরা মাছ নিয়ে আসতেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে ক্রেতারা।কে কার আগে মাছ কিনবে চলছে টানাটানি।
ক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম জানান, ইলিশ মাছের দাম আগের তুলনায় বেশি দেখা যাচ্ছে। মাছ কিনতে এসে চৌড়া দাম দিয়ে মাছ কিনতে হচ্ছে। এক কেজি মাছের দাম ৩/৪ দিনের ব্যবধানে প্রায় ৫ /৬ শত টাকা বেড়ে গেছে।
জেলে আকবর আলী জানান, নদীতে ইলিশ মাছ কিছুটা কমে গেছে। সারা দিনে আগের তুলনায় অনেক কম মাছ জালে ধরা পড়ছে। এবং নদীতে মাছ ধরা বন্ধ হবে তাই মাছের চাহিদা বেশি, মাছও কম। তাই দাম একটু বেশি।
আড়তদার মো. আকতার জানান, টানা ২২ দিন নদীতে মাছ ধরা বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে। ক্রেতা চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মাছের দাম একটু বেশি দেখা যাচ্ছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবদুল কুদ্দুছ বলেন, ( ৯ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর) পর্যন্ত টানা ২২ দিন নদীতে সব ধরণের মাছ ধরা বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। ইলিশের প্রজনন রক্ষায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এসময় ইলিশ মাছ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রি ও বিনিময় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসম্পর্কে জেলেদের বিভিন্নভাবে জনসচেতনামুলক সভা করে তাদের জানান দেয়া হয়েছে।
|
||