বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » » খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে সুপ্রিম কোর্টে কঠোর নিরাপত্তা
খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে সুপ্রিম কোর্টে কঠোর নিরাপত্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিকে ঘিরে সুপ্রিম কোর্ট ও এর আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তার বলয় গড়ে তুলেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ ও সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদেরও মোতায়েন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট ও এর আশপাশের এলাকায় ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আদালতের প্রবেশের পথে সাংবাদিক, গাড়িসহ সকলের তল্লাসী করছেন। এছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে আদালতের মূল ফটকের সামনে জল কামান ও এপিসি রাখা হয়েছে।
গত ১৮ নভেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্যগত অবস্থা জানাতে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তার রিপোর্ট গত ৫ ডিসেম্বর আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। কিন্তু খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত অবস্থা নিয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে খালেদার স্বাস্থ্যগত তথ্যের বিষয়ে আদালতের কাছে সময় চেয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এ সময় প্রধান বিচারপতি এ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক। এই রায়ে খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা বাতিল ও খালাস চেয়ে গত বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করেন খালেদা জিয়া। এর গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানি নিয়ে গত ৩০ এপ্রিল হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে ওই মামলায় খালেদা জিয়াকে বিচারিক আদালতে দেওয়া জরিমানার আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এছাড়া বিচারিক আদালতে থাকা মামলাটির নথি তলব করেন হাইকোর্ট। দুই মাসের মধ্যে নথি পাঠাতে বলা হয়।
বিচারিক আদালত থেকে মামলার নথি গত ২০ জুন হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এরপর খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন আদালতে তুলে ধরেন তার আইনজীবীরা। শুনানি নিয়ে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ৩১ জুলাই জামিন আবেদন খারিজ করেন। পরে খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে তার আইনজীবীরা আপিল বিভাগে যান।
অপরদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।
প্রসঙ্গত, দুর্নীতির পৃথক দুটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে রয়েছেন।