গণসর্বনাশের পর আগুনে পুড়িয়ে ছাই
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদে তরুণী পশু-চিকিৎসকের অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে একই এলাকায় আরও এক নারীর অগ্নিদগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শামশাবাদের সিদ্দুলগুট্টা এলাকায় এক মন্দিরের পাশে পরিত্যক্ত জায়গা থেকে ওই নারীর দেহ উদ্ধার হয়।
ওই নারীর বয়স ৩৫ বছর। সাইবারাবাদ পুলিশ কমিশনার ভি সজ্জনার জানিয়েছেন, শামশাবাদে একটি খোলা জায়গা থেকে ওই নারীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য তার দেহ সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার ২৬ বছর বয়সী এক তরুণী চিকিৎসককে গণনির্যাতনের পর পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে অঙ্গার করে ঘাতকেরা। ওই খুনের ঘটনায় যখন ভারতে তোলপাড় চলছে, ঠিক তখনই একই এলাকা থেকে আরও এক নারীর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধারে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
যে নারীর দেহ উদ্ধার হয়েছে তাকেও নির্যাতনের পর হত্যা এবং তরুণী চিকিৎসকের খুনের ঘটনার সঙ্গে এই ঘটনার কোনও সংশ্লিষ্টতা আছে কি-না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতোমধ্যে তরুণী চিকিৎসককে খুনের ঘটনায় চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে সাইবারাবাদ পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন- মোহাম্মদ আরিফ, জল্লু শিবা, জল্লু নবীন এবং চিন্তকুন্ত চেন্নাকেশভুলু। চার জনই ট্রাক শ্রমিক।
বৃহস্পতিবার তেলঙ্গানার ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের একটি কালভার্টের নিচে থেকে ওই তরুণী চিকিৎসকের আধাপোড়া দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কল্লরু গ্রামের একটি পশু হাসপাতালে কাজ করতেন তিনি। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ শামশাবাদ টোল প্লাজার কাছে নিজের স্কুটারটি পার্ক করে একটি ভাড়ার ট্যাক্সি নিয়ে গোচিবাওলিতে এক চর্ম চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন।
ফিরে এসে দেখেন স্কুটারের পেছনের চাকা পাংচার। রাত তখন ৯টা। তরুণী তার বোনকে ফোনে জানিয়েছিলেন, দুই ট্রাকচালক স্কুটারটি সারাতে তাকে সাহায্য করবে বলছে। তখনই তার বোন তরুণীকে ট্যাক্সি ধরে বাড়ি ফিরে আসার কথা বলেন।
পুলিশকে তরুণীর বোন জানিয়েছেন, এটাই ছিল তাদের দু’জনের মধ্যে শেষ কথা। বাড়িতে না ফেরায় ফের রাত ১০টার দিকে ফোন করেন তিনি। কিন্তু এ সময় মোবাইল বন্ধ পান। পর দিন সকালে শামশাদের আউটার রিং রোডের আন্ডারপাসের নিচে তরুণী চিকিৎসকের পোড়া দেহ উদ্ধার হয়। সূত্র: আনন্দবাজার।