বিয়ের আগে যেসব মেডিকেল টেস্ট অবশ্যই করাবেন
সামনেই বিয়ে? শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে নিশ্চয়ই। খাতায় একের পর এক টিক দিতে দিতে মিলিয়ে নিচ্ছেন কি বাকি আছে, আর কি নেই। কিছু মিস করে যাচ্ছেন না তো?
লাস্ট মিনিট শপিং থেকে শুরু করে বেনারসির সঙ্গে ম্যাচিং শেরওয়ানি, ক্যাটারিংয়ের ব্যবস্থাতো হয়েই গেছে। বিয়ের দিনের ফুলের অর্ডার পর্যন্ত দেওয়া হয়ে গিয়েছে, অথচ খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় পরীক্ষা করার কথা ভুলে গিয়েছেন।
বিষয়গুলি হলো- থ্যালাসেমিয়া, বন্ধ্যাত্ব, শারীরিক রোগ পরীক্ষা ও আলট্রাসোনোগ্রাফি করানো। বিয়ের আগে এই পরীক্ষা গুলি করানো যা অবশ্যই দরকার।
থ্যালাসেমিয়া- থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত কারো সঙ্গে স্বাভাবিক কারো বিয়ে হলে সন্তানের থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত হওয়ার ২৫ শতাংশ সম্ভাবনা থাকে। হবু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একজন যদি থ্যালাসেমিয়ার বাহক হয়, তবে সমস্যা হয় না, কিন্তু দুজনেই এই রোগের বাহক হলে সেক্ষেত্রেও সন্তানের থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ২৫ শতাংশ সম্ভাবনা থাকে। আর দুজনেই যদি থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত হয়, তবে চিকিৎসকরা সন্তান না নেয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
বন্ধ্যাত্ব পরীক্ষা- বিয়ের আগে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়ে পাত্রীর পরীক্ষা করে দেখে নেয়া উচিত ইউটেরাস ও ওভারিতে কোনো সমস্যা আছে কিনা। সেই সঙ্গে পাত্রের বীর্যপাতজনিত কোনো সমস্যা আছে কিনা তা আগেই টেস্ট করে জেনে নেয়া উচিত।
শারীরিক রোগ বা এসটিডি পরীক্ষা- বিয়ের আগে একাধিক সঙ্গীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক থাকলে এইচআইভি, গনোরিয়া, সিফিলিসের মতো শারীরিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই বিয়ের আগে এই পরীক্ষা করে নেয়া উচিত। এই রোগগুলি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ (এসটিডি) নামে পরিচিত।
আলট্রাসোনোগ্রাফি- আজকাল নারীদের মধ্যে পলিসিস্টিক ওভারির সমস্যা খুব বেশিই দেখা যায়। এটি যত তাড়াতাড়ি ধরা পড়বে, তত তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু হবে। নয়তো বিয়ের পর গর্ভধারণে বেশ সমস্যা হয়।